কয়লা চুরি দায়ে সাবেক ৬ এমডিসহ ২২ কর্মকর্তা কারাগারে
দিনাজপুর প্রতিনিধি || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: কয়লা চুরির দায়ে ২২ কর্মকর্তাকে জেল হাজতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে (সংগৃহীত)
দিনাজপুর(১৩ জানুয়ারি): বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে কয়লা চুরির দায়ে সাবেক ৬ ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সহ মোট ২২ কর্মকর্তাকে জেলে পাঠিয়েছেন আদালত। বুধবার দুপুরে দিনাজপুরের স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মাহমুদুল করিম এই আদেশ দেন।
২০১৮ সালের ১৪ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া খনি থেকে ২৪৩ কোটি ২৮ লাখ ৮২ হাজার ৫০১ টাকা মূল্যের কয়লা চুরির অভিযোগে পার্বতীপুর থানায় মামলা করা হয়। মামলার পরে আসামিরা জামিনে ছিলেন। পরে মামলাটি বিচারের জন্য দিনাজপুরের স্পেশাল জজ আদালতে প্রেরণ করা হয়।
বুধবার মামলাটির চার্জ গঠন ও জামিনের জন্য দিন নির্ধারণ ছিল। এদিন আসামিরা আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে বিচারক তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার আসামিরা হলেন- সাবেক এমডি প্রকৌশলী খুরশিদ আলম, মো. আব্দুল আজিজ খান, মো. আনিসুজ্জামান, প্রকৌশলী কামরুজ্জামান, প্রকৌশলী এসএম নুরুল আওরঙ্গজেব ও প্রকৌশলী হাবিব উদ্দীন আহমেদ।
এছাড়া অন্যান্য আসামিরা হলেন, সাবেক মহাব্যবস্থাপক (জিএম) শরিফুল আলম, মো. আবুল কাশেম প্রধানিয়া, আবু তাহের মো. নুরুজ্জামান চৌধুরী, ব্যবস্থাপক মাসুদুর রহমান হাওলাদার, মো. আরিফুর রহমান ও সৈয়দ ইমাম হাসান।
উপব্যবস্থাপক মো. খলিলুর রহমান, মো. মোর্শেদুজ্জামান, মো. হাবিবুর রহমান, মো. জাহিদুর রহমান, সহকারী ব্যবস্থাপক সতেন্ত্র নাথ বর্মন, মো. মনিরুজ্জামান, কোল হ্যান্ডেলিং ম্যানেজমেন্টের ব্যবস্থাপক মো. সোহেবুর রহমান, উপমহাব্যবস্থাপক একেএম খাদেমুল ইসলাম, ব্যবস্থাপক অশোক কুমার হাওলাদার ও উপমহাব্যবস্থাপক মো. জোবায়ের আলী।
মামলা নথি থেকে জানা গেছে, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে ২০০৬ সালের জানুয়ারী মাস থেকে ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই পর্যন্ত এক লাখ ৪৩ হাজার ৭২৭ দশমিক ৯২ মেট্রিক টন কয়লা চুরি হয়। যার আনুমানিক মূল্য ২৪৩ কোটি ২৮ লাখ ৮২ হাজার ৫০১ টাকা ৮৪ পয়সা। এই ঘটনায় বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানীর ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. আনিসুর রহমান বাদী হয়ে ২০১৮ সালের ২৪ জুলাই ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে পার্বতীপুর থানায় মামলা করেন। মামলাটি দুদকের তফসিলভুক্ত হওয়ায় দুদক কার্যালয়ে হস্তান্তর করা হয়। পরে দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত করে ২৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। চার্জশীট দাখিলের পর সাবেক এমডি মো. মাহবুবুর রহমান মারা যান।