এমসির ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ: ৮ আসামির বিচার শুরুর আদেশ
সিলেট প্রতিনিধি || বিজনেস ইনসাইডার
গণধর্ষণের ঘটনায় বিচারের মুখোমুখি কয়েকজন। ছবি: সংগৃহীত
সিলেট (১৭ জানুয়ারি): সিলেট মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে নববধূকে গণধর্ষণ মামলায় ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমানসহ আট আসামির বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ২৪ জানুয়ারি দিন নির্ধারণ করেছেন। খবর ইউএনবি।
রোববার সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহিতুল হক আসামিদের উপস্থিতিতে অভিযোগ গঠন ও সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন।
সিলেট বিভাগীয় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি রাশিদা সাঈদা খানম বলেন, মোট ৫২ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী শুনানিতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো পড়ে শোনানো হয়।
সকাল ১১টায় কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে মামলার এজাহারভুক্ত মামলার আট আসামিকে সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহপরান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য। সব আসামির উপস্থিতেই সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার চার্জ গঠন করে আদালত।
১২ জানুয়ারি সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণের মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) গ্রহণ করে আজ চার্জ গঠনের তারিখ নির্ধারণ করে আদালত। সেদিন পুলিশের দেয়া এ চার্জশিটে কোনো ধরনের আপত্তি নেই বলে জানিয়ে ছিলেন বাদী পক্ষের আইনজীবীরা।
এর আগে গত ৩ ও ১০ জানুয়ারি দুদফায় মামলায় অভিযোগপত্র গ্রহণের তারিখ পেছানো হয়। ৩ ডিসেম্বর সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আবুল কাশেম আদালতে আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য।
অভিযোগপত্রে অভিযুক্ত সাইফুর রহমানকে প্রধান করে ছয়জনের বিরুদ্ধে সরাসরি ধর্ষণে জড়িত থাকা এবং অপর দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহায়তার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
আসামিদের মধ্যে সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেকুল ইসলাম তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল ও মিসবাউল ইসলাম রাজন মিয়া সরাসরি জড়িত এবং রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান মাসুম তাদের সহযোগিতা করেছেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছে।
২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেট নগরীর বালুচর এলাকার এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে নববধূকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। কলেজের গেট থেকে স্বামীসহ তাকে ধরে ছাত্রাবাসে এনে স্বামীকে বেঁধে নববধূকে ধর্ষণ করা হয়।
সেই রাতে ভুক্তভোগী নারীর স্বামী বাদী হয়ে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরও ৩/৪ জনকে আসামি করে নগরীর শাহপরান থানায় মামলা করেন।