মানবতাবিরোধী অপরাধ: গফরগাঁওয়ের ৩ জনের আমৃত্যু, ৫ জনের ২০ বছর করে দণ্ড
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা (১১ ফেব্রুয়ারি): একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের নয়জনের মধ্যে আটজনকে দণ্ড দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বাকি একজন খালাস পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ রায় দেন। খবর ইউএনবি।
রায়ে মো. সামসুজ্জামান ওরফে আবুল কালাম, এএফএম ফয়জুল্লাহ ও আব্দুর রাজ্জাক মণ্ডলকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়া হয়। এদের মধ্যে ফয়জুল্লাহ ও রাজ্জাক পলাতক আছেন।
মো. খলিলুর রহমান, মো. আব্দুল্লাহ, মো. রইছ উদ্দিন আজাদী ওরফে আক্কেল আলী, আলিম উদ্দিন খান (পলাতক) ও সিরাজুল ইসলাম তোতাকে দেয়া হয়েছে ২০ বছর করে সাজা। আর খালাস পেয়েছেন আব্দুল লতিফ।
এর আগে, উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে ২০২০ সালের ২৬ জানুয়ারি মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখা হয়েছিল। পরে ৯ ফেব্রুয়ারি রায়ের জন্য বৃহস্পতিবার দিন ঠিক করা হয়।
ময়মনসিংহের নয়জনের এ মামলায় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সীমন, জাহিদ ইমাম ও তাপস কান্তি বল। আসামিপক্ষে ছিলেন আব্দুস সাত্তার পালোয়ান।
রায়ের পর আব্দুস সাত্তার বলেন, এ মামলায় ১১ আসামির বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ৪ মার্চ অভিযোগ গঠন করেছিল আদালত।
আসামিদের মধ্যে গ্রেপ্তার ছিলেন খলিলুর, সামসুজ্জামান, আব্দুল্লাহ, মো. আব্দুল মালেক আকন্দ ওরফে আবুল হোসেন ওরফে আবুল মেম্বার, রইছ উদ্দিন ও আব্দুল লতিফ। পলাতক ছিলেন ফয়জুল্লাহ, রাজ্জাক, সিরাজুল, আলিম উদ্দিন ও নুরুল আমিন শাহজাহান।
তাদের মধ্যে বিচার চলাকালে আবুল মেম্বার ও পলাতক থাকা অবস্থায় শাজাহান মারা যান।
আসামিদের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, অপহরণ, আটক, নির্যাতন ও মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগ আনা হয়েছিল। গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার নিগুয়ারী ইউনিয়নের সাধুয়া গ্রাম ও টাঙ্গাব ইউনিয়নের রৌহা গ্রামে তারা এসব অপরাধ করেন বলে অভিযোগে বলা হয়।