প্রকাশ্যে টিকা নিন, জনগণকে বিভ্রান্ত করবেন না : বিএনপিকে তথ্যমন্ত্রী
নওগাঁ প্রতিনিধি || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: নওগাঁয়ের আত্রাই উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ
নওগাঁ (২৮ ফেব্রুয়ারি): বিএনপি নেতৃবৃন্দসহ করোনা টিকার সমালোচকদের গোপনে টিকা গ্রহণ না করে প্রকাশ্যে টিকা নেয়া ও জনগণকে বিভ্রান্ত না করার আহবান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
রবিবার দুপুরে নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহবান জানান।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতাসহ সরকারের সমালোচকরা করোনা শুরুর প্রথম থেকে বলে আসছে বাংলাদেশে কোটি কোটি মানুষ আাক্রান্ত হবে আর লক্ষ লক্ষ মানুষ মারা যাবে। তারা আরও বলেছিল সরকার করোনা প্রতিষেধক টিকা আনতেই পারবে না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা করা সম্ভব হয়েছে। টিকা উৎপন্ন হওয়ার আগেই টিকা ক্রয় করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। সেই টিকা বাংলাদেশে এসেছে এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে টিকা দেয়া অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বলেন, কিন্তু দুঃখের বিষয় যারা বলেছিলেন টিকা আনতে পারবে না, সেই বিএনপি নেতারা এবং সামলোচকরা গোপনে টিকা গ্রহণ করছে। গোপনে টিকা না নিয়ে প্রকাশ্যে নেয়ার জন্য এবং এ ব্যপারে জনগণকে বিভ্রান্ত না করতে তাদের প্রতি আহবান জানাই। বিএনপি নেতারা আরও বলেছিল, করোনা পরিস্থিতিতে দেশে হাজার হাজার মানুষ অনাহারে মারা যাবে, কিন্তু সরকারের যথাযথ পদক্ষেপের কারণে গত এক বছরে একজন মানুষও অনাহারে মারা যায়নি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সারাদেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মানুষের পাশে ছিল। যার ফলে সরকারের মন্ত্রী, এমপি, উপদেষ্টা ও কয়েক হাজার নেতাকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছিল, অনেকে মৃত্যুবরণ করেছেন। আমি নিজেও করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলাম। অথচ যারা রাজপথে সরকারের সমালোচনায় মুখর ছিল, দেশের মানুষের পাশে তারা ছিল না।
ড. হাছান বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অনেক এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ। উন্নয়নের সবগুলো সুচক অর্জিত হওয়ার কারণে বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই স্বল্প উন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। পাকিস্তানের প্রচারমাধ্যমগুলো গুরুত্বের সাথে প্রচার করছে যে, সবগুলো সুচকে পাকিস্তানকে পিছিয়ে ফেলে বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে।
তথ্যমন্ত্রী তার বক্তৃতায় যারা নিজেদের পিঠ বাঁচাতে দলে ভিড়েছেন তাদের দলে অন্তর্ভুক্ত না করে ত্যাগী এবং দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত নেতা-কর্মীদের সমন্বয়ে আগামী কমিটি গঠন করতে সম্মেলনে পরামর্শ দেন।
আত্রাই উপজেলা পরিষদ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নৃপেন্দ্রনাথ দত্ত দুলালের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন খাদ্যমন্ত্রী ও নওগাঁ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাধন চন্দ্র মজুমদার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ রোকেয়া সুলতানা প্রমুখ। সম্মেলন উদ্বোধন করেন নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মোঃ আব্দুল মালেক।
সম্মেলনে নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন অংগ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, আত্রাই উপজেলা আওয়ামী লীগ, বিভিন্ন অংগ সংগঠন এবং উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের কাউন্সিলরবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্যায়ে নৃপেন্দ্রনাথ দত্ত দুলালকে সভাপতি ও মো: আক্কাস আলীকে সাধারণ সম্পাদক করে আত্রাই উপজেলা আওয়ামী লীগের আংশিক কমিটির নাম ঘোষণা করা হয়।