Notice: Undefined index: HTTP_REFERER in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 2

Notice: Undefined index: HTTP_ACCEPT_LANGUAGE in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 14
দুবাইতে সড়ক দুর্ঘটনায় নবাবগঞ্জ ও দোহারের ৫জন নিহত: পরিবারে শোকের মাতম

মঙ্গলবার

১৯ নভেম্বর ২০২৪


৫ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১,

১৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দুবাইতে সড়ক দুর্ঘটনায় নবাবগঞ্জ ও দোহারের ৫জন নিহত: পরিবারে শোকের মাতম

নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ১৪:১৯, ৯ জুলাই ২০২৪  
দুবাইতে সড়ক দুর্ঘটনায় নবাবগঞ্জ ও দোহারের ৫জন নিহত: পরিবারে শোকের মাতম

সংগৃহিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: নবাবগঞ্জ ও দোহারের পাঁচ প্রবাসী পরিবারে চলছে শোকের মাতম। গত রোববার বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দুবাইয়ের আজমান প্রদেশে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায় তারা। নিহতরা হলেন- নবাবগঞ্জের বালেঙ্গা গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে মো. রানা (৩০), আব্দুল হাকিমের ছেলে মো. রাশেদ (৩২), শেখ ইরশাদের ছেলে মো. রাজু (২৪), শেখ ইব্রাহীমের ছেলে ইবাদুল ইসলাম (৩৪) এবং দোহার বাজার এলাকার মো. মঞ্জুর ছেলে মো. হিরা মিয়া (২২)।

নবাবগঞ্জের জয়কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের বালেঙ্গা এলাকার তৌহিদুল ইসলাম রানার বাবা লুৎফর রহমান জানান, রানা আজমান প্রদেশে ঠিকাদারি কাজ করতেন। তার আন্ডারে বালেঙ্গার তিনজন ও ঢাকার দোহারের একজন কাজ করতেন। দুই মাস পরেই তৌহিদুল ইসলাম রানার বিয়ের কথা ছিলো। মেয়েও ঠিক করা ছিলো। কিন্তু লাশ হয়ে সেই সন্তান দেশে ফিরবে এই কথা কোনভাবেই মেনে নিতে পারছে না তিনি।

তিনি  জানান, দুর্ঘটনার সময়ে রানা নিজেই নিজের গাড়ি চালিয়ে চারজনকে নিয়ে কাজের সাইডে যাচ্ছিলো। যাওয়ার পথে আজমান প্রদেশেই রাস্তায় একটি ট্রাংকলরির সঙ্গে ধাক্কায় আগুন লেগে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত রানার মা রৌশনারা রুসি কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, দুবাইতে অবস্থানরত এলাকার প্রবাসীরা বিষয়টি তাদের জানায়। তারা একই কোম্পানিতে কাজ করতো। সকালে নিজ শহর থেকে কর্মস্থল আজমান প্রদেশে যাচ্ছিলো। বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩টার দিকে নিহতের স্বজনরা ঘটনাটি জানতে পারেন।

দুর্ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে নবাবগঞ্জের জয়কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেশমা আক্তার বলেন, নিহতদের মধ্যে চারজনই জয়কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা। তারা প্রতিদিনের মতো সকাল বেলা গাড়ি করে কাজের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে তাদের গাড়িটি সড়ক দুর্ঘটনায় বিস্ফোরিত হয়। বিস্ফোরণের ফলে মৃতদেহগুলো ঝলসে গিয়েছিল। পরবর্তী তাদের প্রবাসী সহকর্মীরা কর্মক্ষেত্রের ইউনিফর্ম সংগ্রহ করে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করে পরিবারকে জানায়। একই গ্রামের চারজনের মৃত্যুতে পুরো গ্রামবাসীর মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

নিতহদের পরিবারের দাবি সরকার যেনো দ্রুত নিহতদের লাশ তাদের কাছে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করেন।
 

Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়