বেনাপোল দিয়ে আমদানি হলো বিশেষ সামরিক যান
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
সংগৃহিত
নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের সুরক্ষা বাড়াতে ভারত থেকে ১১ টি মাইন প্রটেকটেড ভেহিকেল আমদানি করেছে ডাইরেকটর জেনারেল ডিফেন্স পারসেজ মিনিস্ট্রি অব ডিফেন্স, ঢাকা। আজ বুধবার (১০ জুলাই) সন্ধ্যার মধ্যে এসব মাইন প্রটেকটিভ ভেহিকেল বেনাপোল বন্দর থেকে এসব খালাস শেষ হবে। যানবাহনগুলোর সুরক্ষায় গতকাল থেকে নিরাপত্তা বাড়ায় স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ।
এর আগে গত মঙ্গবার বিকালে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর হয়ে এসব মাইন প্রটেকটেড ভেহিকেল বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। । মাইন প্রটেকটেড ভেহিকেলগুলো সারিবেঁধে বন্দরে প্রবেশ করলে দেখতে সীমান্তে ভিড় জমায় উৎসুক জনতা। আমদানিকৃত মাইন প্রটেকটিভ ভেহিকেলগুলে দেশের সুরক্ষায় বড় ভুমিকা রাখবে বলছেন সচেতন মহল।
আমদানি পত্রের তথ্য মতে ১১টি মাইন প্রটেকটেড ভেহিকেলগুলোর আমদানি মুল্য দেখানো হয়েছে ৩৮ লাখ ৫ হাজার ৩৯ মার্কিন ইউএস ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৪৬ কোটি টাকা।
জানা যায়, বর্তমান সরকারের পদক্ষেপে দেশের সুরক্ষা ক্ষাত এখন অন্য যে কোন সময়ের চেয়ে আধুনিক। নতুন নতুন আধুনিক সব সুবিধা যুক্ত হচ্ছে সুরক্ষা ক্ষাতে। এ ক্ষাতকে আরো শক্তিশালি করতে সরকার ভারত থেকে আমদানি করেন ১১টি মাইন প্রটেকটিভ ভেহিকেল। যার রফতানি কারক ভারতের টাটা এ্যাডভেন্সসেড লিমিটেড।
বানিজ্য সংশিষ্ট সুত্রে জানায়, যানবাহনটি সেনাবাহিনীতে ব্যবহারের জন্য আনা হয়েছে। এটি সম্পূর্ন বুলেট প্রুভ। এই প্রথম বেনাপোল বন্দর হয়ে এধরনের সামরিক যান আমদানি করা হয়েছে ভারত থেকে। ওয়েব সাইডে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সরঞ্জামের তালিকার তথ্য মতে, দেশে মোট ২০৫টি মাইন রেজিস্ট্যান্ট আ্যমবুশ প্রটেক্টেড ভেহিকেল কেনা হয়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সরঞ্জামের তালিকা মাইন রেজিস্ট্যান্ট আ্যমবুশ প্রটেক্টেড ভেহিকেল ৬৭টি, মার্কিন যুক্ত রাষ্ট্র থেকে কেনা হয় ৫০ টি মাইন রেজিস্ট্যান্ট আ্যমবুশ প্রটেক্টেড ভেহিকেল , দক্ষিন আফ্রিকা থেকে হয়েছে মাইন রেজিস্ট্যান্ট আ্যমবুশ প্রটেক্টেড ভেহিকেল ৪৪ টি ও কানাডা থেকে কেনা হয় ৪৪টি মাইন রেজিস্ট্যান্ট আ্যমবুশ প্রটেক্টেড ভেহিকেল।
গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার ইনডেক্স ২০২৪ অনুযায়ী সামরিক শক্তিতে বাংলাদেশের অবস্থান ৩৭ তম।
বেনাপোল বন্দর পরিচালক রেজাউল করিম জানান, আমদানিকৃত মাইন প্রটেকটিভ ভেহিকেলগুলো গতকাল বন্দর প্রবেশের পর সেগুলো সুরক্ষায় বন্দরের নিরাপত্তাকর্মীদে বিশেষ ভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছি। কাগজ পত্র দাখিলের পর খালাসে সর্বচ্ছ সহযোগীতা করা হয়েছে।