মিছিলে বাধা দেয়ার ঘটনায় থানায় হামলা, আহত ৬ পুলিশ
ফরিদপুর প্রতিনিধি || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: হেফাজতের কর্মীরা থানার প্রধান সাইনবোর্ড ভেঙ্গে ফেলে, সংগৃহীত
ফরিদপুর (২৭ মার্চ): ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে হেফাজতের মিছিলে পুলিশ বাধা দেওয়ায় থানার মধ্যে ঢুকে হামলা চালিয়ে প্রধান ফটকসহ ২টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করেছেন নেতাকর্মীরা।
শনিবার দুপুর ২টার দিকে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় এ ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৩৫ রাউন্ড গুলি ছুড়ে।
এ সময় ইটের আঘাতে এসআইসহ ৬ পুলিশ আহত হন। এ ঘটনায় হেফাজতের ২ কর্মীকে পুলিশ আটক করেছে। আহত পুলিশ সদস্যদের ভাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন- এসআই আজাদ ও সহিদুল্লাহ, এএসআই আজিজুর রহমান, কনস্টেবল জয়নাল, মতিয়ার ও শাহজালাল।
আটককৃতরা হলেন- ঈদগাহ মাদ্রাসার মোহতামিম মাওলানা তালহা (৫০) ও আকাশ (২২)।
পুলিশ জানায়, যোহরের নামাজের পর হেফাজতের শত শত নেতাকর্মী ভাঙ্গা মহাসড়কে জড়ো হতে থাকেন। পরে তারা ব্যানার নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে থানা অভিমুখে রওনা হন।
এ সময় পুলিশ তাদের মিছিলে বাধা দিলে বিক্ষুব্ধ মিছিলকারীরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৩৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোঁড়া হয়। তখন ইটের আঘাতে ২ এসআইসহ ৬ পুলিশ আহত হন।
ভাঙ্গা থানার ওসি সৈয়দ লুৎফর রহমান জানান, হঠাৎ মিছিল নিয়ে হেফাজতের নেতাকর্মীরা থানায় ঢুকে হামলা ও ভাংচুর করে। এতে এসআইসহ ৬ পুলিশ আহত হন। আসামিদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আজিমুদ্দিন জানান, আগেই আমি থানাকে সতর্ক থাকতে বলি- হেফাজতের নেতাকর্মীরা মিছিল করতে পারে। পরে হঠাৎ হেফাজতের নেতাকর্মীরা অতর্কিত থানায় হামলা চালায়। এতে ৬ পুলিশ আহত হন।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।