সাতক্ষীরায় ১৫ দিনের সেই শিশু হত্যায় মা-বাবা: পুলিশ
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: সংগৃহীত
সাতক্ষীরা (২৮ নভেম্বর): সাতক্ষীরায় ঘুমন্ত বাবা-মায়ের কাছ থেকে ‘চুরি হয়ে যাওয়া’ ১৫ দিনের শিশুর লাশ বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ওই শিশুর বাবা-মাই নিজের সন্তানকে হত্যার পর লাশ সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেয়ার কথা স্বীকার করেছে।
সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মির্জা সালাহউদ্দিন জানান, সোহান হোসেন নামের শিশুটির লাশ উপজেলার হাওয়ালখালীর একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে শুক্রবার রাত ১টার দিকে তারা উদ্ধার করেছেন। সোহানকে হত্যার পর লাশ সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেয়া হয় বলে তার বাবা সোহাগ হোসেন ও মা ফাতেমা খাতুন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন বলে তিনি জানান।
মির্জা সালাহউদ্দিন বলেন, “বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘুমিয়ে থাকা ফাতেমার কাছ থেকে ১৫ দিন বয়সের সোহান চুরি হয়ে গেছে বলে তিনি সবাইকে জানান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলের আশপাশের বিল, খাল ও পুকুরে তল্লাশি করলেও সোহানোর কোনো খোঁজ মিলছিল না। পরে পুলিশ সেপটিক ট্যাংক থেকে সোহানের লাশ উদ্ধার করলে ফাতেমা ও সোহাগ হত্যায় সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেন।”
অভিযোগের বরাত দিয়ে সদর থানার ওসি মো. আসাদুজ্জামান জানান, সোহাগ স্ত্রী ফাতেমাকে নিয়ে হাওয়ালখালী গ্রামে রাস্তার ধারে নানাবাড়িতে বসবাস করছিলেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে শিশুটিকে নিয়ে বাবা-মা ঘুমিয়ে ছিলেন। সোহাগের অভিযোগ, এ সময় কে বা কারা সদ্যজাত শিশুটিকে তুলে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে সদর থানায় একটি জিডি করেন সোহাগ।
শুক্রবার সকাল থেকে সদর থানা পুলিশ ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) শিশুটি উদ্ধারে কাজ শুরু করে। শুক্রবার রাতে সন্দেহ হওয়ায় সেপটিক ট্যাংকের ঢাকনা খুললে শিশুর লাশ দেখা যায়।