কলাবাগানে ধর্ষণের পর হত্যা: কুষ্টিয়ায় আনুশকার দাফন সম্পন্ন
ডেস্ক রিপোর্ট || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: ইউএনবি
ঢাকা (৯ জানুয়ারি): কুষ্টিয়ায় গ্রামের বাড়িতে দাদা-দাদির পাশে শায়িত হলেন রাজধানীর কলাবাগানে যৌন নির্যাতনের শিকারের পর নিহত হওয়া স্কুলছাত্রী আনুশকা নূর আমিন (১৭)। আজ শনিবার সকালে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার কমলাপুরের গোপালপুর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এর আগে গোপালপুর ঈদগাহ ময়দানে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
রাত ১ টার দিকে লাশ নেওয়ার পর ভোররাত থেকেই শেষবারের মত তাকে বিদায় জানাতে আসে শতশত মানুষ। আনুশকার পরিবারেও নেমে আসে শোকের ছায়া।
এদিকে অপরাধীর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে কমলাপুর বাজারে সড়কের দুপাশে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী। এইসময় আনুশকার বাবা আল আমিন আহম্মেদ ও ছোট ভাই নিভান সহ অন্যান্য আত্মীয় স্বজনরাও উপস্থিত ছিলেন। মামলা ও সুরতহাল প্রতিবেদনে আনুশকার বয়স দুই বছর বাড়ানো হয়েছে বলে প্রতিবাদ করেন তারা। এছাড়া এমন ঘটনা আর কারো জীবনে যেন না ঘটে তার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তারা।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা: সোহেল মাহমুদ জানান, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা গেছে। এছাড়া ভুক্তভোগীকে কোন নেশাজাতীয় দ্রব্য খাওয়ানো হয়েছিল কিনা তা জানার জন্য রাসায়নিক নমুনা ও সে একাধিকবার ধর্ষণের শিকার হয়েছিল কিনা তার জন্য ডিএন এ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এর আগে গত শুক্রবার হত্যার দায়ে মামলার আসামী ফারদিন ইফতেখার দিহান আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কলাবাগান থানার পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) আ. ফ. ম. আসাদুজ্জামানকে মামলটি তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য ২৬ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছে আদালত।