বাংলাদেশের জন্য নকশা করা মোটরসাইকেল আনলো হোন্ডা
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: বিজনেস ইনসাইডার
ঢাকা(২৩ ডিসেম্বর): ‘বদলে ফেলুন জীবনের গতি’ এই শ্লোগান নিয়ে সাশ্রয়ী মুল্যে বাংলাদেশের জন্য বিশেষায়িত মডেল ‘হোন্ডা ড্রিম ১১০’ নিয়ে আসলো বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেড । স্থানীয়ভাবে হোন্ডা ২ লাখ ইউনিট মোটরসাইকেল উৎপাদন অর্জন উদযাপনের দিনে বাংলাদেশের জন্য বিশেষভাবে নকশা করা পণ্যটি ‘ড্রিম ১১০ মডেল পরিচয় করিয়ে দিলো জাপানি প্রতিষ্ঠানটি।
বুধবার মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় বাংলাদেশ হোন্ডার কারখানায় নতুন পণ্যটি পরিচয় করিয়ে দেন বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেড এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিমিহিকো কাতসুকি, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট নরেশ কুমার রতন, প্রধান উৎপাদন কর্মকর্তা শইচি সাতোহ এবং অর্থায়ন বিভাগের প্রধান শাহ মোহাম্মদ আশিকুর রহমান।
কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশের চালকদের উচ্চতা, সড়কের মান এবং আর্থসামাজিক অবস্থা বিবেচনাকে আমলে নিয়ে নকশা করা মোটরসাইকেলটি ৮৯ হাজার ৯০০ টাকা মুল্যে পাওয়া যাবে। বুধবার থেকেই সারাদেশের হোন্ডা এক্সক্লুসিভ অথরাইজড ডিলার শোরুম গুলোতে ।
জাপানি কোম্পানি হোন্ডা ১৯৪৯ সাল থেকে মোটরসাইকেল উৎপাদন শুরু করে।
আধুনিক নকশায় তৈরি ড্রিম ১১০ মোটরসাইকেলে হোন্ডা ইকো প্রযুক্তির পাশাপাশি ১১০ সিসি ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। যার ফলে বাংলাদেশের সড়কের মান অনুযায়ী চলাচলে ভালো অভিজ্ঞতা দেবে মোটরসাইকেলটি। প্রতি লিটার জ্বালানিতে ৭৪ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে সক্ষম ড্রিম ১১০।
কাস্টমারদের চাহিদা ছিল আরামদায়ক সিট হাইট যাতে গড় উচ্চতার মানুষ খুব সহজে এই বাইক বাংলাদেশের উঁচু নিচু রাস্তায় চালাতে পারে। হোন্ডার আর এন্ড ডি টিম বাংলাদেশের ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী তৈরি করেছে নতুন ড্রিম নিও ।
লাল, কালো এবং নীল তিন রঙ এ নকশায় ২৩ ডিসেম্বর থেকে হোন্ডার নিজস্ব শোরুমে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৮৯ হাজার ৯০০ টাকায় পাওয়া যাবে পাওয়া যাবে ড্রিম ১১০।
স্থানীয় পর্যায়ে মোটরসাইকেল উৎপাদন অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে হোন্ডা বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিমিহিকো কাতসুকি বলেন, বাংলাদেশে কার্যক্রমের মধ্যে ২ লক্ষ মোটরসাইকেল উৎপাদন আমাদের জন্য উল্লেখযোগ্য অর্জন।
তিনি আরো বলেন, এটি (২ লক্ষ সাইকেল উৎপাদন) শুধুমাত্র সংখ্যা নয়, মানসম্পন্ন পণ্য গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেয়ার মাধ্যমে হোন্ডা বাংলাদেশ গ্রাহকের যে আস্থা অর্জন করেছে এবং সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তার ফলাফল এটা।
সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট নরেশ কুমার রতন বলেন, বাংলাদেশের সাধরন মানুষের দৈনন্দিন চলাচলকে সহজ করতেই ড্রিম ১১০ মডেলের আভির্ভাব। ড্রিম ১১০ মডেলের বৈশিষ্ট এবং সুবিধা নিয়ে বিষয়ভিত্তিক উপস্থাপনা করেন হোন্ডা বাংলাদেশের মার্কেটিং বিভাগের প্রধান গিয়াস উদ্দিন সজীব।