রুম হিটার ও গিজারের চাহিদা বাড়ছে
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: বিজনেস ইনসাইডার
ঢাকা (২৪ ডিসেম্বর): বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে অন্যান্য ব্যবসার মত ইলেক্ট্রনিক্স ব্যবসায়ও পরেছে ভাটা। তবে শীতের শুরুতেই বিক্রি বেড়েছে ইলেকট্রিক গিজার, রুম হিটার, কেটলি, রাইস কুকার এবং ফ্লাস্কের। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, করোনার কারণে বেচা-বিক্রি অর্ধেকে নেমে এলেও শীতের শুরুতে বেচাকেনা বেড়েছে।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম মার্কেট, ফার্মগেট এবং সাভার হেমায়েতপুরের ইলেক্ট্রনিক্স মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি ইলেক্ট্রনিক্সের দোকান বা শোরুমের সামনের অংশে ইলেকট্রিক গিজার, রুম হিটার, কেটলি, রাইস কুকার এবং ফ্লাস্ক প্রদর্শন করা হচ্ছে। কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা জানান, শীতে এই সকল পণ্যের চাহিদা বেড়ে যায়। এজন্য আমরাও দোকানের সম্মুখ অংশে এইসব পণ্যের প্রর্দশনের ব্যবস্থা করি।
বাজারে কোম্পানি ভেদে বিভিন্ন ধরণ ও দামের গিজার পাওয়া যায়। মিনি গিজারের দাম ২২০০ টাকা থেকে শুরু হলেও একটি ভাল মানের গিজার ৪০০০ টাকা থেকে ১২০০০ হাজার টাকা পরবে। ১২৫০ টাকা থকে ৫০০০ টাকায় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের রুম হিটার পাওয়া যাচ্ছে । এ সকল পণ্যের সাথে বিক্রেতারা দিচ্ছেন দু বছরের বিক্রয় পরবর্তী সেবা।
রাজধানীর গুলিস্তান স্টেডিয়াম মার্কেটের তাওহিদ ইলেক্ট্রনিক্সের মালিক মোঃ রায়হান বিজনেসইনসাইডার’কে জানান,বাজারে গিজারের চাহিদা বেশী তবে আমদানি না থাকায় কিছু কোম্পানি দাম বাড়িয়েছে। প্রতিটি গিজারে ৫০০ থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়েছে।
ফার্মগেটে অবস্থিত বেঙ্গল রেফ্রিজারেটর কোম্পানি লিমিটেডের ম্যানেজার মোঃ রিপন বিজনেসইনসাইডার’কে বলেন, বাজারে অনেক কম দামি পণ্য থাকলেও তাদের পণ্যের চাহিদা গত বছরের থেকে এ বছর অনেক বেশি। তিনি জানান, ভাল মানের কাঁচামাল দেয়ায় তাদের পণ্যের দাম একটু বেশী ।
অপরদিকে গিজারের পাশাপাশি শীতের শুরুতেই বিক্রি বাড়ছে রুম হিটারের। বাজারে ১২৫০ টাকা থেকে ৫০০০ হাজার টাকার মধ্যে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিভিন্ন মানের রুম হিটার পাওয়া যায়।
সাভারের হেমায়েতপুরের মাধু সুপার মার্কেটের সাথী ইলেকট্রনিক্সের কর্ণধার মোঃ ফরহাদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান, শীত মৌসুমে তাদের বেচাকেনা ভাল হয়। অন্যান্য ইলেক্ট্রনিক্স পণ্যের চেয়ে শীতে ইলেক্ট্রিক কেটলি, রাইস কুকার, রুম হিটার, ফ্লাস্ক এ ধরনের পণ্যসামগ্রির চাহিদা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। এই ব্যবসায়ী জানান, করোনায় যে ক্ষতি হয়েছে তা এই শীতে মৌসুমের বেচাকেনায় কিছুটা পুষিয়ে নেওয়া যাবে।