চালের দাম বাড়ছেই
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
ফাইল ফটো
ঢাকা (২৬ ডিসেম্বর): আমনের ভরা মৌসুমেও চালের ঊর্ধ্বগতি থামছে না কিছুতেই। গত সপ্তাহের তুলনায় এই সপ্তাহে চালের দাম বেড়েছে গড়ে দুই থেকে তিন টাকা। রাজধানীর কৃষি মার্কেট, টাউনহল, কাওরানবাজারের ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বর্তমানে নাজির শাইল চাল ৬৫-৬৮ টাকা, মিনিকেট ৬০-৬৫ টাকা, আটাশ পুরাতন চাল ৫২ থেকে ৫৫ টাকা, নতুন আটাশ ৪৮-৫০ টাকা, পাইজাম ৪৫-৪৮ টাকা, চিনিগুড়া চাল গড়ে ৯৫-১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
কৃষি মার্কেটের চাল ব্যবসায়ী মোঃ ইউসুফ আলী বিজনেস ইনসাইডার’কে জানান, বাজারে চালের সরবরাহ কম এবং ধানের দাম বেশী হওয়ায় বেড়েই চলেছে চালের দাম । এ সপ্তাহেও প্রায় সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে গড়ে দুই থেকে তিন টাকা। ব্যবসায়ীরা আশা করছেন সরকার যদি চাল আমদানি করে তাহলে দাম কমে যাবে।
অপরদিকে, চালের বাজার অস্থিতিশীল থাকলেও ভোজ্যতেল বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই। বাজারে প্রতি লিটার বোতলজাত তেল কোম্পানিভেদে বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২৫ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১০০ থেকে ১০৫ টাকা, পামওয়েল ৯৫ থেকে ১০০ টাকা প্রতি কেজি।
এছাড়া, প্রতি কেজি দেশি মাসুর ডাল ১১৫ টাকা, মোটা মসুর ডাল ৭৫ টাকা, ময়দা ৩৫ টাকা, চিনি ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে ।
এদিকে, কুয়াশা কমে যাওয়ায় শীতের সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে বাজারে ঘাটতি না থাকায় এই সপ্তাহে দাম কমেছে সবজির। গত সপ্তাহের তুলনায় এই সপ্তাহে আলু পেঁয়াজের দাম কমেছে গড়ে ৫-১০ টাকা। খুচরা বাজারে নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা ও পুরাতন আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়। পুরাতন পেয়াজ বিক্রি হচ্ছে গড়ে ৬০-৬৫ টাকায়, নতুন পেয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকায়।
কাওরান বাজারের আলু পেঁয়াজ বিক্রেতা মোঃ আল আমিন বিজনেস ইনসাইডার’কে জানান,নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ বেশি এবং চাহিদা কম থাকায় দামও কমেছে প্রায় ৫-১০ টাকা।তবে পুরাতন পেঁয়াজের চাহিদা বেশি হওয়ায় এখনো বিক্রি হচ্ছে ৬০ থকে ৬৫ টাকা।
এদিকে, মৌসুমি সবজির মধ্যে চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, ফুলকপি ৩০ টাকা, করলা ৫০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, বেগুন ৪০ টাকা, গাজর ৫০ টাকা, শালগম ৩০ টাকা, লাউ ৩০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, টমেটো ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে মরিচের ঝাল কমছে না কিছুতেই। প্রতি কেজি মরিচ ১০০ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে এবং মূলা ১০ টাকা বেড়ে আজকে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজি দরে ।
মাংসের বাজারে গিয়ে দেখা যায়, গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে সরকার নির্ধারিত ৫৫০ টাকায়। খাসির মাংস ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা, দেশি মুরগী ৪০০ টাকা, পাকিস্তানি কর্ক মুরগী ২২০ টাকা ও ফার্মের মুরগী ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।