ভোক্তা-উৎপাদকের স্বার্থ রক্ষা করেই পেঁয়াজ আমদানি: বাণিজ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: বিজনেস ইনসাইডার
ঢাকা(০৩ জানুয়ারি): দেশের ভোক্তা এবং উৎপাদনকারীদের স্বার্থ রক্ষা করেই পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি জানান, ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করার আগে করা এলসির পেঁয়াজ এখন দেশে প্রবেশ করছে। এগুলোর বর্তমান আমদানি মূল্য প্রতি কেজি প্রায় ৩৯ টাকা।
রবিবার বাণিজ্যমন্ত্রী সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব প্রদানের সময় এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, দেশের ভোক্তা এবং উৎপাদনকারীদের স্বার্থ রক্ষা করেই নতুন আমদানির বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। দেশের পেঁয়াজ পুরোদমে বাজারে আসবে আগামী মার্চ মাসে।
গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, কোন অসাধু ব্যবসায়ীকে সুযোগ নিতে দেয়া হবে না, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। পেঁয়াজ আমদানি নির্ভরতা আর থাকবে না। বর্তমানে দেশে ৮ থেকে ৯ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজের ঘাটতি রয়েছে। সরকার পেঁয়াজ উৎপাদনে স্বয়ং সম্পূর্ণতা অর্জনে ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়ছে। আশা করা যায় আগামী তিন বছরের মধ্যে দেশে পেঁয়াজ উৎপাদনে স্বয়ং সম্পন্ন হবে। পেঁয়াজের বিষয়ে সরকার সচেতন রয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাজারে আলুর দর নেমে এসেছে। বাজারে আলুর দাম বেড়ে যাবার কারনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন টিসিবি সাশ্রয়মূল্যে বাজারে আলু বিক্রয় করেছে। আলুর মূল্য এখন স্বাভাবিক। ভোজ্য তেলের মূল্য আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়েছে। এটি একটি আমদানি নির্ভর পণ্য। সে কারনেই বাংলাদেশে এর সাময়িক প্রভাব পরেছে। তবে অসৎ উপায়ে যাতে পণ্যের মূল্য কেউ বাড়াতে না পারে, সে বিষয়ে সরকার সজাগ রয়েছে। এ মহুর্তে আমাদের চালের মজুত কিছুটা কম রয়েছে। সে জন্য সরকার চাল আমদানি করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে চাল আমদানি শুরু হয়েছে। প্রয়োজনীয় মজুত নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় চাল সরকার আমদানি করবে। প্রয়োজনে বেসরকারি পর্যায়েও চাল আমদানির সুযোগ প্রদান করা হবে।
টিপু মুনশি বলেন, ভারত তাদের সুবিধা মত পেঁয়াজ বাংলাদেশে রপ্তানি করে এবং রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। পেঁয়াজ আমদানি নির্ভর না থেকে দেশের মানুষের চাহিদা পূরণের জন্য সরকার নানামুখি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। উন্নতমানের বীজ ব্যবহার করে এবং উৎপাদনকারীদের উৎসাহ প্রদান করে দ্রুত পেঁয়াজের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং ৪ থেকে ৫ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ হিমাগারে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা।