তেল-গ্যাস উৎপাদন অর্ধেকে নামিয়ে এনেছে শেভরন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা (১৩ জানুয়ারি): যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ তেল-গ্যাস উৎপাদনকারী বহুজাতিক কোম্পানি শেভরন নিজস্ব উৎপাদন অর্ধেকে নামিয়ে এনেছে। ১৮০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের এই কোম্পানির প্রধান নির্বাহী মাইক রিথ নিজেই এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর রয়টার্স।
মাইক রিথ বলছেন, কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনতে ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তিকে সমর্থন করেন তিনি। কিন্তু তাই বলে যে সহসাই বিশ্ব থেকে অশোধিত জ্বালানির চাহিদা কমে যাবে এমনটা তিনি মনে করছেন না।
কোভিড ১৯ এর কারণে বিশ্বে জ্বালানি চাহিদায় প্রভাব ফেলেছে স্বীকার করে মাইক রিথ বলেন, যারা এ জ্বালানি ব্যবহার করেন, তারা আগের মতোই আছেন। বিশ্বের আজকের জনসংখ্যা যেখানে ৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন সেখানে ২০৪০ সাল নাগাদ সেটা হয়তো ৯ বিলিয়নে পৌঁছবে। এর অর্থ দাঁড়াচ্ছে জ্বালানির চাহিদাও বাড়বে। আর এই কারণে জ্বালানি খাতের যে অবস্থা ছিলো তাই বহাল থাকবে বলে মনে করেন মাইক রিথ।
অন্যদিকে যুক্তরাজ্যের বহুজাতিক কোম্পানি বিট্রিশ পেট্রোলিয়াম (বিপি) গত সেপ্টেম্বরে বলেছিল, ২০৩০ সাল নাগাদ তারা তেল-গ্যাস উৎপাদন ৪০ শতাংশ কমিয়ে আনবে। ২০৩০ সালের মধ্যে তাদের বায়ু এবং সৌর জ্বালানি সক্ষমতা ২০ গুন বাড়িয়ে ৫০ গিগাওয়াটে উন্নীত করতে চায় কোম্পানিটি। কিন্তু মাইক রিথ উৎপাদন অব্যবহত রেখে কার্বন নিঃসরণের ক্ষতি মোকাবেলার ওপরই এখন বেশি জোড় দিচ্ছেন।
মা্তইক রিথের বক্তব্যের পকে।ষ যুক্তি হচ্ছে, বিশ্বে জ্বালানি চাহিদা এবং সৌদি আরবের যোগান কমিয়ে দেয়ার কারণে অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়ে ব্যারেল প্রতি ৫৬ ডলার ছাড়িয়ে যায়। নতুন প্রকল্পে বিনিয়োগ আশাব্যঞ্জক নয়। এ অবস্থায় এ দাম আরো বৃদ্ধি পাওয়াও অবাস্তব নয়। গবেষণা প্রতিষ্ঠান রেস্টাড এনার্জি পূর্বাভাস দিয়েছে যে, বিগত কয়েক বছরের মধ্যে ২০২১ সাল হবে সবচেয়ে কম অপরিশোধিত জ্বালানি যোগানের বছর।
গেল বছরের মন্দা বর্তমান ঘাটতির অন্যতম কারণ। আকৃতিতে বড় হওয়ার কারণে শেভরন তুলনামূলক ভাবে ছোট কোম্পানিগুলোর তুলনায় সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। বিশ্বে জ্বালানি পণ্যের দামে আবার যদি মন্দাভাব দেখা দেয় তাহলে শেভরন হয়তো অন্য বড় কোন কোম্পানির সঙ্গে একীভূত হয়ে যাবে। তবে মাইক রিথ বলেন, এক্সন মোবিলের সঙ্গে শেভরনের একীভূত হওয়ার গুজব একেবারেই অমূলক।