চালের দাম বাড়ছেই
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: ফাইল ফটো
ঢাকা (১৯ জানুয়ারি): চালের বাজার আবারও অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমে যাওয়ায় চলতি সপ্তাহে খুচরা বাজারে প্রকারভেদে চালের দাম বস্তা প্রতি (৫০ কেজি) ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেড়েছে।
পাইকারি বিক্রেতারা বলছেন, মিল মালিকরা চালের সরবরাহ কমিয়ে দেওয়ার কারনে চালের দাম বাড়ছে। আর মিল মালিকরা বলছেন, বেশি দামে ধান কেনায় চালের দাম কমানো যাচ্ছে না। এছাড়া মিলগুলোর কাছে চালের মজুদ কমে এসেছে। তাই পাইকারি ও খুচরা বাজারে চালের সরবরাহ কমে গেছে। ফলে পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা বেশি দামে চাল বিক্রি করছে।
মিল মালিক, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়িদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাজারে বেশি প্রচলিত চাল আটাশ ও পাইজামের দাম বেড়েছে বেশি। এছাড়া নাজিরশাইল ও মিনিকেটের দাম অল্প বেড়েছে।
এদিকে, চালের দাম নিয়ন্ত্রণ রাখতে সরকার চালের আমদানি শুল্ক কমিয়েছে। গত রবিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চালের আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করেছে। আমদানি শুল্ক কমালেও দেশের চালের বাজারে এর কোন প্রভাব পড়েনি।
চালের দাম বাড়ার কারণ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কে এম লায়েক আলী বিজনেসইনসাইডার’কে জানান, মিল মালিকদের কাছে চালের মজুত কমে এসেছে। ফলে চালের সরবরাহ কমেছে। এই সুযোগে পাইকারি চালের আড়তদাররা চালের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। তিনি জানান, আমদানি করা চাল আগামি সপ্তাহে বাজারে আসলে খুচরা পর্যায়ের দাম স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
রাজধানীর বিভিন্ন পাইকারি বাজারের চাল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রকারভেদে নাজিরশাইল চাল ৫০ কেজির বস্তা বিক্রি হচ্ছে ২৬০০ থেকে ৩২০০ টাকা, মিনিকেট চাল ২,৯০০ থেকে ৩০০০ টাকা, পাইজাম ২১৫০ টাকা থেকে ২২০০ টাকা এবং আটাশ ২২৫০ থেকে ২৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মিরপুরের তাইয়্যেবা রাইস এজেন্সির ম্যানেজার বিজনেসইনসাইডার’কে জানান, হঠাৎ করে চালের দাম বেড়ে গেছে। পাইকারি বাজারে পাইজাম এবং আটাশ চালের চাহিদা থাকলেও সরবরাহ কম থাকায় ৫০ কেজির বস্তায় দাম বেড়েছে ৫০ থেকে ১০০ টাকা।
কাওরানবাজার চাঁদপুর ট্রেডার্সের ম্যানেজার মোহাম্মদ শহিদ জানান, পাইকারি বাজারে কিছুটা দাম কমলেও খুচরা বাজারে এখনো আগের দামেই সব ধরনের চাল বিক্রি হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, চালের মজুদ হ্রাস এবং বন্যার কারণে ধানের উৎপাদন কমে যাওয়ায় সরকার চাল আমদানিতে শুল্ক কমিয়েছে। স্থানীয় বাজারে চালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যবসায়ীদের আরও বেশি চাল আমদানির সুযোগ দিতে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।