২০০ কোটি টাকায় জুলফারের বাংলাদেশ প্ল্যান্ট কিনেছে রেডিয়েন্ট ফার্মা
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা (২১ জানুয়ারি): ২০০ কোটি টাকায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের ওষুধ কোম্পানি জুলফারের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান জুলফার বাংলাদেশ লিমিটেড কিনে নিয়েছে দেশি কোম্পানি রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। ওষুধ খাতে দেশের অন্যতম বড় অধিগ্রহণ এটি।
বুধবার রেডিয়েন্ট ফার্মাসিটিক্যালসের চেয়ারম্যান নাসের শাহরিয়ার জাহেদী এই অধিগ্রহণের বিষয়টি বিজনেস ইনসাইডেরকে নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা ব্যবসা বাড়াতে চেয়েছিলাম, কিন্তু ফ্যাক্টরি স্থাপন করে কাজ শুরু করতে অন্তত তিন বছর সময় লাগে। আর যেহেতু জুলফার বিক্রি হওয়ার কথা চলছিল তাই আমরা কিনে নিলাম।’
এদিকে ব্যবসা চালিয়ে নিতে বিপনন, বিতরণ এবং কর্তৃপক্ষ থেকে অনুমতি না পাওয়ার মত নানা অসুবিধায় পড়তে হচ্ছিল বলে জুলফার বাংলাদেশ লিমিটেড এর পক্ষ থেকে জানা গেছে।
জুলফারকে কিনতে রেডিয়েন্ট ফার্মাকে অর্থায়ন করছে বেসরকারি মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, “আমরা জুলফার কিনতে রেডিয়েন্টকে ৮৫ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছি।”
২০০৯ সালে আরএকে ফার্মাসিউটিক্যালস প্রাইভেট লিমিটেডকে কিনে বাংলাদেশে ব্যবসা শুরু করে সংযুক্ত আরব আমিরাত ভিত্তিক বহুজাতিক ওষুধ কোম্পানি জুলফার গালফ ফার্মাসিউটিক্যালস। এ দেশে তারা জুলফার বাংলাদেশ লিমিটেড নামে যাত্রা করে।
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় এর ২২৮,৭০৫ স্কয়ার ফুট আয়তনের ফ্যাক্টরি রয়েছে। এতে সাধারণ উৎপাদন ইউনিট, আধুনিক তিন স্তরের ফ্লোর, প্রটোটাইপ গবেষণাগার, উন্নয়ন ল্যাবরেটরিসহ পুনব্যবহারের সুবিধা সম্বলিত আধুনিক পানি নিষ্কাষণ ব্যবস্থা রয়েছে।
স্বাস্থ্য, প্রযুক্তি এবং ক্লিনিক্যাল গবেষণা নিয়ে একসাথে কাজ করা আমেরিকার বহুজাতিক কোম্পানি, আইকিউভিএ’র ২০২০ এর রেটিং অনুযায়ী বাংলাদেশের ওষুধ বাজারে সেরাদের তালিকায় ৪৮তম অবস্থানে আছে জুলফার। আর রেডিয়েন্ট রয়েছে একই তালিকার ১১ নম্বরে। তবে এই ক্রয়ের মধ্য দিয়ে রেডিয়েন্ট তালিকায় শীর্ষ দশে চলে আসবে বলে মনে করছেন ওষুধ শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশে এখনো পর্যন্ত প্রায় ২০০ ফার্মাসিটিক্যাল কোম্পানি নিবন্ধিত রয়েছে। কিন্তু পুরো বাজারের দুই-তৃতীয়াংশ শেয়ারই আছে শীর্ষ দশ কোম্পানির হাতে। গত বছর বাংলাদেশে এই ওষুধ ব্যবসার স্থানীয় বাজারের আকার ছিল প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার। ২০১৪ থেকে ২০১৮ এর মধ্যে এই শিল্প প্রায় ১৬ শতাংশ বেড়েছে।