সিটি ব্যাংকের ১৭ টি শাখা বন্ধের সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ ব্যাংকের না
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: বিজনেস ইনসাইডার
ঢাকা (২৬ জানুয়ারি): সিটি ব্যাংকের ১৭টি লোকসানে থাকা শাখা বন্ধের আবেদন সম্প্রতি নাকচ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, করোনাভাইরাস মহামারীর এই সময়ে এ ধরনের পদক্ষেপ চাকরির বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সিনিয়র কর্মকর্তার সূত্রে এতথ্য জানা গেছে।
কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে সৃষ্ট ব্যাংকের ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব এবং ক্রেডিট কার্ড ছাড়া অন্য সব ঋণের জন্য ৯ শতাংশ সুদ কেন্দ্রীয় ব্যাংক ধার্য্য করে দেয়ার পর গত বছরের এপ্রিল থেকে সুদের আয় হ্রাস পাওয়ায় ব্যয় কমাতে সিটি ব্যাংক কিছু শাখা বন্ধ করে দেয়ার উদ্যোগ গ্রহন করে।
সিটি ব্যাংকের এক শীর্ষ কর্মকর্তা সোমবার বিজনেস ইনসাইডার বাংলাদেশকে বলেন, "বাংলাদেশ ব্যাংক এ মুহূর্তে আমাদের শাখা বন্ধ করার অনুমতি দেয়নি।" তিনি বলেন, এ সব শাখার লোকসান হচ্ছে। ব্যাংক তো বছরের পর বছর ধরে এটি অব্যাহত রাখতে পারবে না। এসব শাখা ঢাকার বাইরে এবং অন্য বড় শহরে অবস্থিত।
১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত, সিটি ব্যাংকের সারা দেশে মোট ১৩২ টি শাখা রয়েছে। ব্যাংকটি ক্রেডিট কার্ড এবং পয়েন্ট-অফ-বিক্রয় এর ক্ষেত্রে বাজারে শীর্ষ অবস্থান করছে। এটি বাংলাদেশে আমেরিকান এক্সপ্রেস-এর একমাত্র ফ্র্যাঞ্চাইজি।
সিটি ব্যাংকে গত কয়েক বছর ধরেই নানা রূপান্তর ঘটছে। এ ব্যাংক এর নানা সেবা ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে খুচরা ও গণ-ব্যাংকিংয়ের উপর জোর দিয়েছে। এছাড়াও, গ্রাহকদের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে সিটি ব্যাংক ডিজিটাল আর্থিক বিভাগ চালু করেছে।
লোকসানে থাকা শাখা ও স্বয়ংক্রিয় টেলার মেশিন বন্ধ করা এবং পরিচালন ব্যয় কমানোসহ ব্যাংক এর কার্যক্রম অব্যাহত রাখার মাধ্যমে সিটি ব্যাংক দেশের একটি শক্তিশালী আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হতে চায়।
প্রায় চার দশক কার্যক্রম চালানো সত্ত্বেও সিটি ব্যাংকের মূল গ্রাহক ছিল প্রায় ১৭ লক্ষ। তাই আরো বেশি মানুষকে ব্যাংক সেবার আওতায় আনতে সিটি ব্যাংক খুচরা ও গণ-ব্যাংকিংয়ে উদ্বুদ্ধ হয়েছিল।