বৃহস্পতিবার

১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪


৪ আশ্বিন ১৪৩১,

১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছাড়াল ৪১ বিলিয়ন ডলার

নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ২০:৫২, ৩১ অক্টোবর ২০২০   আপডেট: ২০:৫৩, ৩১ অক্টোবর ২০২০
দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছাড়াল ৪১ বিলিয়ন ডলার

ছবি: বিজনেস ইনসাইডার

ঢাকা( ৩১ অক্টোবর): দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রির্জাভ ছাড়াল ৪১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। শুক্রবার দেশের রির্জাভ নতুন এই উচ্চতায় পৌছেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রবাসী  আয়ের ওপর ভর করে বৈদেশিক মুদ্রার এই রির্জাভ হয়। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশের রির্জাভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪১ দশমিক শূন্য ৩ বিলিয়ন বা ৪ হাজার ১০৩  কোটি ডলার। যা বাংলাদেশী মদ্রায় ৩ লাখ ৪৮ হাজার কোটি টাকারও বেশি। গত জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত পাঁচ মাসে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভে যুক্ত হয়েছে প্র্রায় ৮ বিলিয়ন ডলার।বর্তমান রিজার্ভ দিয়ে দেশের প্রায় ১০ মাসের আমদানি ব্যয় নির্বাহ করা সম্ভব।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বিজনেস ইনসাইডার’কে বলেন,  রেমিট্যান্সের বড় প্রবৃদ্ধি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে শক্তিশালী ভিতের ওপর দাঁড়াতে সহায়তা করেছে। গত জুন থেকে দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে বড় প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। প্রবাসীরা আগের চেয়ে অনেক বেশি অর্থ  দেশে পাঠাচ্ছেন।  দেশের রফতানি খাতও করোনাসৃষ্ট বিপর্যয় কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। 

তিনি বলেন,  বৈদেশিক মদ্রা আয়ের শীর্ষ দুটি খাতের প্রবৃদ্ধি অর্থনীতির জন্য আশীর্বাদ। পাশাপাশি বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, এডিবিসহ দাতা সংস্থাগুলোর ঋণসহায়তা বাড়ছে। এতে রির্জাভের পরিমাণ ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ। একই সময়ে রফতানি আয়ে ২ দশমিক ৫৮ শতাংশ বেড়েছে। বৈদেশিক মুদ্রা  আয়ের আয়ের  প্রধান দুটি উৎস ইতিবাচক ধারায় থাকলেও ব্যয়ের খাত সংকুচিত হয়েছে। 

অর্থবছরের  প্রথম তিন মাসে আমদানি ব্যয় কমেছে ১১ দশমিক ৪৭ শতাংশ। বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের তুলনায় ব্যয় কম হওয়ায় সরকারের চলতি হিসাবের ভারসাম্যে ৩৫৩  কোটি ডলার উদ্বৃত্ত  থেকেছে। যদিও কয়েক বছর ধরে চলতি হিসাবে বড় ঘাটতি ছিল।

গত ৩ জুন  দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো রিজার্ভ ৩৪ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়। তিন সপ্তাহের ব্যবধানে ২৪ জুন সেই রিজার্ভ  বেড়ে ৩৫ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই ৩০ জুন রিজার্ভ ৩৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়। এরপর ২৮ জুলাই রিজার্ভ ৩৭ বিলিয়ন ডলারের ঘরও অতিক্রম করে। তিন সপ্তাহ পর গত ১৭ আগস্ট রিজার্ভ ৩৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়। পরে তা আরো বেড়ে দাঁড়ায় ৩৯ বিলিয়ন ডলারে। ৮ অক্টোবর রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলকও ছাড়িয়ে যায়। উন্নতির এ ধারাবাহিকতায় অক্টোবর শেষ হওয়ার আগেই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল।
 

Nagad
Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়