কোভিড-১৯ টিকা কর্মসূচির আপ্যায়নে ৯০ কোটি টাকা ছাড়
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: কোভিড-১৯ টিকা (সংগৃহীত)
ঢাকা(০৪ ফেব্রুয়ারি): করোনাভাইরাসের টিকা কর্মসূচির ‘আপ্যায়ন ব্যয়’ বাবদ ৯০ কোটি টাকা ছাড় বা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রচার-প্রচারণা ও বিজ্ঞাপনের জন্য কোন অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি অর্থ বিভাগ থেকে এই বরাদ্দের বিষয়টি নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিবকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানিয়েছেন। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, খুব বেশি অপরিহার্য হলে প্রচার প্রচারণার জন্য অর্থ স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের নিজস্ব তহবিল থেকে অর্থ ব্যয় করার জন্য অর্থ মন্ত্রনালয় পরামর্শ দিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, গেল জানুয়ারি মাসে করোনাভাইরাসের প্রচার-প্রচারণা ও আপ্যায়ন বাবদ ১০৫ কোটি টাকা চেয়েছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের ওই চাহিদাপত্রের বিপরীতে গত ৩ ফেব্রুয়ারি শুধুমাত্র ‘আপ্যায়ন ব্যয়’ বাবদ ৮৯ কোটি ৮৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা ছাড় দেওয়া হয়।
তবে এই বরাদ্দের ক্ষেত্রে তিনটি শর্ত আরোপ করে দেয় অর্থ মন্ত্রনালয়। এই তিন শর্তের মধ্যে রয়েছে, আপ্যায়ন ব্যয় খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে সরকারি প্রযোজ্য আর্থিক বিধিবিধান যথাযথভাবে অনুসরণ করা, অব্যায়িত অর্থ যথাসময়ে সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া এবং এই অর্থ চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে সমন্বয় করতে হবে।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো: আবদুল মান্নান এ প্রসঙ্গে বিজনেসইনসাইডার’কে বলেন, বিজ্ঞাপন আর প্রচারনা না করতে পারলে টিকা নিতে কম লোক আসবে। প্রচার প্রচারণায় অর্থ না দেওয়াটা কাঙ্খিত ছিলো না।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান,গত ২৭ জানুয়ারি স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ থেকে অর্থ বিভাগে পাঠানো বরাদ্দের চাহিদাপত্রে মোট ১০৪ কোটি ৮২ লাখ ৯৮ হাজার টাকা চাওয়া হয়েছিলো। এরমধ্যে প্রচার ও বিজ্ঞাপন ব্যয় বাবদ চাওয়া হয়েছে ১৪ কোটি ৯৭ হাজার ৩৮ টাকা এবং আপ্যায়ন বাবদ চাওয়া হয়েছে ৮৯ কোটি ৮৫ হাজার ৬০ টাকা। এর বিপরীতে আপ্যায়ন বাবদ অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হলেও প্রচার প্রচারণা বাবদ ১৪ কোটি ৯৭ হাজার ৩৮ টাকা ছাড় করা হয়নি।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উর্ব্ধতন এক কর্মকর্তা জানান, কারোনাভাইরাসে টিকা কিভাবে নিতে হবে, এ নিয়ে প্রচার-প্রচারণা চালানো, টিকা প্রদানের ডাটাবেস তৈরি এবং টিকা প্রদানে সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে করতে ৪২ হাজার স্বেচ্ছাসেবক ও কর্মীকে আপ্যায়নের জন্য এই বরাদ্দ চাওয়া হয়েছিলো।
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, চলতি বছরের শুরুতে মোট ১৬টি খাতের বিপরীতে এক হাজার ৫৮৯ কোটি ৪৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা চাওয়া হয়েছিলো। এর বিপরীতে মাত্র সাতটি খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিলো ৭১৯ কোটি ৩১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। কাটছাঁট করা হয়েছে ৮৭০ কোটি ১৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা।
এর আগে গত ২০ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১৬টি খাতের বরাদ্দ চাহিদার ভিত্তিতে ৯টি খাতে বরাদ্দ করা হয়েছিল ৭৩৫ কোটি ৭৬ লাখ ৮২ হাজার টাকা। কিন্তু ১৭ জানুয়ারি ওই বরাদ্দ থেকে আরো দুটি খাতের ১৬ কোটি ৪৫ লাখ ৩৭ হাজার টাকা কেটে দেওয়া হয়েছে।