বাংলাদেশের বড় ব্যবসায়িক অংশীদার চীন: বাণিজ্যমন্ত্রী
|| বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি
ঢাকা(০৭ ফেব্রুয়ারি): চীন বাংলাদেশের বড় ব্যবসায়িক অংশীদার উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, উভয় দেশের বাণিজ্য দিনদিন বাড়ছে। চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের রপ্তানির চেয়ে আমদানি বেশি। বাংলাদেশ রপ্তানি পণ্য তৈরী করতে যন্ত্রপাতি এবং পণ্যের কাঁচামাল চীন থেকে আমদানি করে বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করে।
রবিবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো আয়োজিত চীনা অনুদান সহায়তায় রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো দ্বারা বাস্তবায়িত ‘চায়না-বাংলাদেশ ফ্রেডশীপ এক্সিবিশন সেন্টার’র হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, চীন বর্তমানে বাংলাদেশের ৮ হাজার ২৫৬টি রপ্তানি পণ্যের উপর ডিউটি ফ্রি মার্কেট সুবিধা দিচ্ছে। চীনে বাংলাদেশের তৈরী পোশাক, পাট পণ্য, চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন এবং হাইটেক পার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে। এগুলোর বাস্তবায়নের কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। এতে করে বাংলাদেশে নতুন করে ব্যবসা-বাণিজ্যে ও বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।এরইমধ্যে দেশী-বিদেশী বিনিয়োগকারীগণ বিনিয়োগ করতে এগিয়ে আসছে। এসকল জোনে চীনের বিনিয়োগকারীগণ বিনিয়োগ করলে লাভবান হবেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিশে^র বিভিন্ন দেশের আন্তর্জাতিক মেলায় নিয়মিত ভাবেই অংশ গ্রহণ করে থাকেন। চায়না-বাংলাদেশ ফ্রেডশীপ এক্সিবিশন সেন্টার নির্মাণের ফলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার আয়োজন করা সহজ হবে। এখন থেকে উন্নত পরিবেশে আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত হলে এ বাণিজ্য মেলা আয়োজন করা সম্ভব হবে। ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার পাশাপাশি বছরব্যাপী এখানে বিভিন্ন মেলার আয়োজন করা সম্ভব হবে। আমাদের এক্সিবিশন সেন্টার না থাকার কারনে বছরব্যাপী নিজস্ব রপ্তানি পণ্যেও কোন প্রদর্শনী কেন্দ্র ছিল না। এখন নিজস্ব রপ্তানি পণ্য প্রদর্শন করার সুযোগ হলো।
অনুষ্ঠানে চায়না-বাংলাদেশ ফ্রেশীপ এক্সিবিশন সেন্টার হস্তান্তর পত্রে বাংলাদেশের পক্ষে স্বাক্ষর করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং চীনের পক্ষে স্বাক্ষর করেন ঢাকায় নিযুক্ত চায়নার এ্যাম্বাসেডর লি জিমিং।
বাণিজ্যসচিব ড. মো. জাফর উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ভাচ্যুয়ালি বক্তব্য রাখেন বিশেষ অতিথি ঢাকায় নিযুক্ত চায়নার এ্যাম্বাসেডর লি জিমিং, গেষ্ট অফ অনার পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং ইআরডি সচিব ফাতেমা ইয়াসমিন।