সোনালী ব্যাংকের গ্রাহকদের বিকাশের মাধ্যমে লেনদেনের সুবিধা
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: বিকাশ লিমিটেড
ঢাকা (২৫ ফেব্রুয়ারি): সোনালী ব্যাংকের আড়াই কোটি গ্রাহক এখন থেকে তাৎক্ষণিক বিকাশ অ্যাকাউন্টে টাকা আনতে পারবেন এবং বিকাশ থেকে সোনালী ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা জমাও দিতে পারবেন। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিকাশ এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ সুবিধার ফলে ব্যাংকিং সময়সীমার মধ্যে নির্ধারিত শাখায় গিয়ে লেনদেনের বাধ্যবাধকতা এড়িয়ে গ্রাহক প্রয়োজন অনুযায়ী যে কোন স্থান থেকে দিনে-রাতে ২৪ ঘন্টা লেনদেন করার আরো স্বাধীনতা পেলেন।
বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে রাষ্ট্রমালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক সোনালী ব্যাংক এবং মোবাইল আর্থিক সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ এই যৌথ সেবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক। বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ আসাদুল ইসলাম এবং সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান সিদ্দিকী। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন সোনালী ব্যাংকের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোঃ আতাউর রহমান প্রধান এবং বিকাশের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার কামাল কাদীরসহ বাংলাদেশ ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক ও বিকাশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ লক্ষ্যপূরণে ডিজিটাল আর্থিক অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে দেশের মানুষের জীবনমানের সার্বিক উন্নয়নে এই যৌথ সেবা চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশজুড়ে সোনালী ব্যাংকের ১২২৫টি শাখার সব গ্রাহকের জন্য ব্যাংকিং লেনদেন আরো সহজ এবং সময় ও খরচ সাশ্রয়ী হলো।
এই সেবা পেতে প্রথমে গ্রাহকদের বিকাশ অ্যাকাউন্ট ও সোনালী ব্যাংকের অ্যাকাউন্টের মধ্যে লিংক স্থাপন করতে হবে। লিংক স্থাপনের ক্ষেত্রে উভয় অ্যাকাউন্টের তথ্য একই হতে হবে। লিংক স্থাপন হয়ে গেলে বিকাশ অ্যাপের “অ্যাড মানি” এর মাধ্যমে সোনালী ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে সহজেই বিকাশ অ্যাকাউন্টে টাকা নিয়ে আসতে পারবেন এবং প্রয়োজন মত ব্যবহার করতে পারবেন।
আবার ব্যাংকে না গিয়ে সোনালী ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দেয়া সহ ডিপিএস, ঋণের কিস্তি ইত্যাদি নানাবিধ সেবা বিকাশ অ্যাপের “ট্রান্সফার মানি” এর মাধ্যমে গ্রাহকগণ ঘরে বসেই নিতে পারবেন। উল্লেখ্য অ্যাড মানি বা ট্রান্সফার মানি উভয় ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারিত ‘ট্রানজেকশন লিমিট’ প্রযোজ্য হবে।