প্রিমিয়ার লিজিং এমডির পদত্যাগপত্র গ্রহণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিষেধাজ্ঞা
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: প্রিমিয়ার লিজিং এন্ড ফাইন্যান্স লিমিটেড (সংগৃহীত)
ঢাকা(০১ মার্চ): প্রিমিয়ার লিজিং এন্ড ফাইন্যান্স লিমিটেডের (পিএলএফএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) পদ থেকে আব্দুল হামিদ মিয়াকে কোনভাবেই অব্যাহতি না দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত রবিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে প্রিমিয়ার লিজিংয়ের পরিচালনাপর্ষদেও চেয়ারম্যানের কাছে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সুত্রে এতথ্য জানা গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, প্রিমিয়ার লিজিংয়ের এমডি পদ থেকে আব্দুল হামিদ মিয়ার পদত্যাগের সিদ্ধান্ত কার্যকর না করার জন্য পর্ষদকে পরামর্শ দেয়া হলো। একইসঙ্গে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিযুক্ত প্রশাসকের আগাম অনুমোদন ছাড়া এমডির পদ থেকে যাতে আব্দুল হামিদ মিয়াকে অব্যাহতি সংক্রান্ত কোন মেমো পর্ষদের সভায় উপস্থাপন করা না হয় সে বিষয়েও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, প্রিমিয়ার লিজিংয়ের এমডি আব্দুল হামিদ মিয়া সম্প্রতি পর্ষদের কাছে পদত্যাগপত্র পেশ করেছেন। এদিকে আমানতকারীদের টাকা ফেরত দিতে না পারায় উচ্চআদালতের নির্দেশে বাংলাদেশ ব্যাংক গত বছরের ডিসেম্বওে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক একেএম মহিউদ্দিন আজাদকে প্রশাসক হিসাবে নিয়োগ দেয়। তিনি এখনও প্রশাসক হিসাবে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রশাসকের সঙ্গে পরামর্শ করেই বর্তমান ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে কাজ করতে হচ্ছে। এর আগে একজন আমানতকারীকে তার সঞ্চিত অর্থ ফেরত দিতে টালবাহানাকরায় তিনি প্রিমিয়ার লিজিংয়ের বিরুদ্ধে আদালতে রিট করেন। আদালত শুনানি শেষে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রশাসক নিয়োগের নির্দেশ দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রশাসক নিয়োগ করেছে।
সূত্র জানায়, প্রশাসক এখন প্রতিষ্ঠানটির সার্বিক কর্মকান্ড, ঋণ বিতরণে কি ধরনের অনিয়ম হয়েছে, ঋণ আদায় পরিস্থিতিসহ নানা বিষয় খতিয়ে দেখছে। এছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকেও তদারকি জোরদার করা হয়েছে।
আব্দুল হামিদ মিয়া ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে প্রতিষ্ঠানটির এমডি পদে দায়িত্ব পালন করছেন। গত কয়েক বছরে প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। এর আর্থিক অবস্থার অবনতির কারণ অনুসন্ধান করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ কারণে এমডিপদ থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাকে অব্যাহতি দিতে রাজি নয়। কেননা তিনি যেহেতু দীর্ঘ সময় প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী হিসাবে রয়েছেন সে কারণে সব কিছুই তার জানা। ফলে এমডি পদ থেকে তার পদত্যাগ বা পর্ষদ থেকে তাকে অব্যাহতি এমন যে কোন সিন্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে পর্ষদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।