Notice: Undefined index: HTTP_REFERER in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 2

Notice: Undefined index: HTTP_ACCEPT_LANGUAGE in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 14
বছরে ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি গ্রামে পাঠায় পোশাক শ্রমিকরা

মঙ্গলবার

১৯ নভেম্বর ২০২৪


৫ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১,

১৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

এশিয়ান সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্টের জরিপ

বছরে ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি গ্রামে পাঠায় পোশাক শ্রমিকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ১৮:৩৭, ৭ মার্চ ২০২১   আপডেট: ১৯:৪৮, ৭ মার্চ ২০২১
বছরে ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি গ্রামে পাঠায় পোশাক শ্রমিকরা

ছবি: একটি পোশাক কারখানায় কর্মরত শ্রমিকরা (সংগৃহীত)

ঢাকা (০৭ মার্চ): তৈরি পোশাক শ্রমিকরা গ্রামে থাকা নিজেদের পরিবারের সদস্যদের কাছে প্রতি মাসে ১ হাজার ১১ কোটি টাকা পাঠায়। বছরে এর পরিমাণ ১২ হাজার ১৩২ কোটি টাকা। এই টাকা শ্রমিকদেও মোট আয়ের প্রায় ১০ শতাংশ। 

এশিয়ান সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্টের (এসিডি) এক জরিপ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়, তৈরি পোশাক খাতের প্রায় ৬২ শতাংশ শ্রমিকই গ্রামে তাদের পরিবারের কাছে টাকা পাঠান, যার পরিমাণ শ্রমিক প্রতি ৩ হাজার ৮৬৯ টাকা। 

এতে আরও উল্লেখ করা হয়, গত ছয় বছরে এ খাতের শ্রমিকদের গড় আয় বেড়েছে ৬৭ শতাংশ। ২০১৪ সালে একজন শ্রমিকের গড় আয় ছিল ৬ হাজার ৮২০ টাকা আর ২০২০ সালে তা বেড়ে দাঁঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৪০২ টাকা।

গত বছরের তথ্য-উপাত্তের ওপর ভিত্তি করে এ জরিপ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। ঢাকা ও চট্টগ্রামের ১৬০টি পোশাক কারখানার ১ হাজার ১১৯ জন শ্রমিকের ওপর এ জরিপ চালানো হয়। 

শনিবার অনলাইন ওয়েবিনারে এই জরিপ প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। জরিপের বিভিন্ন দিক বিস্তারিত তুলে ধরেন জরিপকারী দলের প্রধান ড. এ কে এনামুল হক। এ সময় তৈরি পোশাক শিল্পোদ্যোক্তা, অর্থনীতিবিদ ও সরকারের প্রতিনিধিরা প্রতিবেদনের ওপর তাদের মতামত তুলে ধরেন।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এ খাতে কারখানার সংখ্যা কমলেও শ্রমিক সংখ্যা সে হারে কমেনি। বরং অনেক কারখানা আকারে বড় হয়েছে। বর্তমানে এ খাতের শ্রমিক সংখ্যা ৪২ লাখ ২০ হাজার। তবে ধীরে ধীরে কমছে নারী শ্রমিকের হার। পাঁচ বছর আগে এ হার ৬৫ শতাংশ হলেও এখন তা নেমে এসেছে ৫৯ শতাংশে। এর কারণ হিসেবে অনেক কারখানা ওভেন থেকে নিটে পরিবর্তন হওয়া এবং কারখানায় প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়ে যাওয়াকে দায়ী করা হয়েছে।

অবশ্য এ খাতে শ্রমিকের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আলোচকরা। অন্যদিকে ২৪২টি কারখানার তথ্য নেওয়ার জন্য জরিপকারী দল চেষ্টা চালালেও এর মধ্যে ৮২টি কারখানা তথ্য নিতে অনুমতি দেয়নি। ফলে জরিপটি কতটুকু বিশ্বাসযোগ্য, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন একাধিক আলোচক।

আলোচনায় অংশ নিয়ে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আবদুস সালাম কিছু কারখানা প্রবেশের অনুমতি না দেওয়া নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

এ সময় সিপিডির ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, যে হারে শ্রমিকের আয় বাড়ছে, তার চাইতে বেশি হারে যদি মূল্যস্ফীতি হয়, তাহলে শ্রমিকের জীবন ধারণের জন্য বাকি টাকা আসবে কোথা থেকে। এক্ষেত্রে তিনি শ্রমিকের লিভিং ওয়েজ বা বাঁচার মতো মজুরি কাঠামো বাস্তবায়নে গুরুত্ব দেন।

বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক বলেন, এটাই একমাত্র প্রাতিষ্ঠানিক খাত, যার দিকে আঙ্গুল তোলা যায়। গত বছর বিশ্ববাজাওে পোশাকের দাম বাড়েনি, বরং কমেছে প্রায় পৌনে ৫ শতাংশ। 

ওয়েবিচনারে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন পলিসি রিসার্স ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর, বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত রেনজি তেরিঙ্ক, বাংলাদেশে আইএলওর কান্ট্রি  ডিরেক্টও টুমো পুটিআইনেন প্রমুখ।
 

Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়