পেঁয়াজের দাম বেড়েই চলেছে
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: আবারও পেঁয়াজের দাম বেড়েছে
ঢাকা (০৯ মার্চ): একদিনের ব্যবধানে আবারও পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ৫ টাকা। সোমবার কেজি প্রতি ১০ টাকা বাড়ার পর মঙ্গলবারও দ্বিতীয় দফায় দাম বেড়েছে আরও ৫ টাকা।
পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির কারণ সম্পর্কে ব্যবসায়ীরা জানান, রমজানের আগে সাধারণত পেঁয়াজসহ নিত্যপণের দাম বেড়ে যায়। এছাড়া, বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কমে যাওয়ার বিপরীতে আমদানি না থাকায় হঠাৎ দাম বেড়ে যায়।
মঙ্গলবার রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৫ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে ৪৫ টাকা, যা সোমবার ছিল ৪০ টাকা। আর পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে ৩৮ থেকে ৪০ টাকা, যা সোমবার বিক্রি হয়েছে ৩৩ থেকে ৩৫ টাকায়।
কাওরান বাজারের কপাইকারী পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মোঃ ফারুক বিজনেস ইনসাইডার বাংলাদেশ’কে জানান, পেঁয়াজের এই দাম বৃদ্ধি সাময়িক। এখন ‘মুড়িকাটা’ পেঁয়াজের সরবরাহ একেবারেই কমেছে। এক সপ্তাহের মধ্যে ‘কালি পেঁয়াজ’ বাজারে আসা শুরু হবে এবং বাজারে আমদানি করা পেঁয়াজ ও দেশি পেঁয়াজ আসবে তখন দাম আবার কমে যাবে।
শ্যামবাজারের পেঁয়াজ আমদানিকারক ও পাইকারি বিক্রেতা রাজ ট্রেডার্সের ম্যানেজার মোঃ নুরু দাম বৃদ্ধির কারণ সম্পর্কে বলেন, এখন মুড়িকাটা পেঁয়াজের সরবরাহ একেবারেই কম। তাই হুট করে পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে। এক সপ্তাহের মধ্যে আবারও দাম কমে আসবে। তিনি আরও জানান, আগামি ১৫দিনের মধ্যে দাম আবারও কমে আসবে। তখন দেশি কালি পেঁয়াজ ও আমদানি করা পেঁয়াজ বাজারে থাকবে।
মঙ্গলবার কেবিনেট বৈঠক শেষে দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, রমজানের অতি আবশ্যক ৬ পণ্যের মজুদ পর্যাপ্ত আছে। যেমন ভোজ্য তেল, চিনি, ছোলা, মুসুর ডাল, খেজুর, পেঁয়াজ এবং আদা এই কয়টি পণ্য।
এখানে উল্লেখ্য, জমি থেকে সংগ্রহের সময় যেসব পেঁয়াজের উপরের পাতা বা কলি ভেঙ্গে ফেলা হয় সেসব পেঁয়াজ ‘মুড়িকাটা’ নামে পরিচিত। আর যেসব পেঁয়াজের উপরের পাতা বা কলি জমিতেই শুকিয়ে যাওয়ার পর সংগ্রহ করা হয় সেগুলোকে ‘কালি পেঁয়াজ’ বলে থাকে। এই দুই ধরণের মধ্যে কালি পেঁয়াজই সংরক্ষণ করা যায় বছরব্যাপী।