বেজা বিজিএমইএর ৪১ টি প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
ছবিঃ বিজনেস ইনসাইডার বাংলাদেশ
ঢাকা (১৫ মার্চ): বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরে একটি বিশেষায়িত গার্মেন্টস পার্ক স্থাপনে বেজা এবং বিজিএমইএর ৪১ টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জমি ইজারা চুক্তি ও জাইকা কর্তৃক ওশেন ফ্রন্ট ইজেড স্থাপনে প্রস্তুতিমূলক জরিপ বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
রবিবার রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমাদ কায়কাউস, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব আবু হেনা মো: রহমাতুল মুনিম, সিনিয়র সচিব, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ ও চেয়ারম্যান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, জনাব হেলালুদ্দীন আহমদ, সিনিয়র সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগ, জনাব মো: মোস্তাফিজুর রহমান পিএএ, সচিব, ভূমি মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের মান্যবর রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো, জাইকা বাংলাদেশ প্রধান হায়াকায়া ইউহো এবং বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যনুফাকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি ড. রুবানা হক।
বিজিএমইএ মূলত গার্মেন্টস এবং গার্মেন্টস একসেসোরিজ সেক্টরে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। সেই লক্ষ্যে বেজার আওতাধীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরে ৫০০ একর জমি বরাদ্দ প্রদানে বেজা সম্মত হয় এবং এ বিষয়ে গত ২১ মার্চ ২০১৮ তারিখে বেজা ও বিজিএমইএর মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয় । সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরের ধারাবাহিকতায় আজ বেজা ও বিজিএমইএর ৪১ টি প্রতিষ্ঠানের সাথে জমি বরাদ্দে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, ‘এ উদ্যোগের ফলে বিজিএমইএ এবং বেজা’র মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্ক দৃঢ় হবে এবং ভবিষ্যতে এ গার্মেন্টস ভিলেজের সফল বাস্তবায়নে বেজা এবং বিজিএমইএ একসাথে কাজ করবে এবং পরিকল্পিত শিল্প বাস্তবায়নের পথ সুগম হবে’।
অনুষ্ঠানে বিজিএমইএর সভাপতি ড. রুবানা হক বলেন, ‘বেজা এবং বিজিএমইএর মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে বিজিএমই’র দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন পূরণ হল । আমি আশা করি বিজিএমইএ যে সকল প্রতিষ্ঠান আজকে চুক্তি স্বাক্ষর করলেন তার দ্রুত শিল্প নির্মাণের কাজ শুরু করবে এবং বেজা তাদের সকল ধরনের সেবা প্রদান করবে’।
জাইকা বাংলাদেশ প্রধান হায়াকীয়া ইউহো বলেন- জাইকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর উন্নয়নে অংশীদার হতে পেরে আনন্দিত, আশা করা হচ্ছে জাপানিজ বিনিয়োগকারীর এ শিল্পনগরে বিনিয়োগে এগিয়ে আসবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান (সচিব) জনাব পবন চৌধুরী।
সভাপতির বক্তব্যে জনাব পবন চৌধুরী বলেন, বিজিএমইএ দ্রুত এ শিল্প স্থাপন করলে ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরের উপর জন - স্রোতের চাপ কিছুটা হলেও কম হবে এবং বন্দরের পার্শ্ববর্তী হওয়ার কারণে পরিবহন ব্যয় হ্রাস পাবে। এতে প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশের পোষাক রপ্তানী বৃদ্ধি পাবে।