সদরদপ্তর বেঁচে দেবে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ!
আন্তর্জাতিক ডেস্ক || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: ১৯৯৮ সালে এ ভবনটি নির্মানে ব্যয় হয়েছিল ২০০ মিলিয়ন পাউন্ড
ঢাকা (১৯ মার্চ): সদরদপ্তর ভবন বেঁচে দেওয়ার চিন্তা করছে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ। করোনা কালে কর্মকর্তা-কর্মচারিরা সবাই বাড়িতে বসে কাজ করায় কর্তৃপক্ষ এখন চিন্তা করছে অফিসের জন্য এতো বিশাল ভবন রাখার কোন দরকার নেই। তাই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।
ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের সদরদপ্তর ভবন বেঁচে দেওয়ার পরিকল্পনার কথা প্রথম প্রকাশ করে ফাইন্যানসিয়াল টাইম। ভবন বিক্রি করলে কোভিড -১৯ এর কারণে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের আর্থিক অবস্থার কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ১৯৯৮ সালে এ ভবনটি নির্মানে ব্যয় হয়েছিল ২০০ মিলিয়ন পাউন্ড।
কোভিডের কারণে বাসায় বসে অফিসের কাজ করার বিষয়টি ব্রিটেনের অনেক বড় কোম্পানিকে তাদের অফিসের ব্যাপারে নতুন করে ভেবে দেখার সুযোগ করে দিয়েছে। ব্রিটেনের ব্যাংকিং জায়ান্ট লয়েডস বলেছে আগামি তিন বছরের মধ্যে তারা অফিস ২০ শতাংশ কমিয়ে আনবে। আর এইচএসবিসির লক্ষ্য অফিসের জায়গা ৪০ শতাংশ কমিয়ে আনা।
লন্ডনের পশ্চিমে হেথ্রো এয়ারপোর্টের কাছে অবস্থিত বিএ কমপ্লেক্সে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের মূল কোম্পানি আইএজি’র অফিসও রয়েছে।
ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ এক বিবৃতিতে বলেছে, অনেক কর্মকর্তা কর্মচারিই বাসায় বসে অফিসের কাজ করতে বেশ স্বাচ্ছন্দ বোধ করছেন। তাই অফিসের কাজ বাড়িতে এবং অফিসে মিলিয়ে করা যাবে এমন নমনীয় ভাবেই তাদের অভিষ্যত নীতি প্রণয়ন করা হতে পারে।
ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের মুখপাত্র বলেন, সংকট থেকে উত্তোরণের জন্য আমাদের ব্যবসা পুনর্গঠন করতে হবে। তাই এতো বড় অফিস ভবন এখন আর আমাদের প্রয়োজন হবে কিনা সেই বিষয়টি বিবেচনা করে দেখা হচ্ছে।
কোভিড মহামারিতে আর্থিক সংকট মোকাবেলা করতে ব্যয় সংকোচনসহ ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ গেল বছর ১০ হাজারের বেশি কর্মী ছাঁটাই করেছে। এখন ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের কর্মী সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার হলেও পাইলট, কেবিন ক্রু, ইঞ্জিনিয়ার বা এয়ারপোর্ট স্টাফ ছাড়া কেউ অফিসে এসে কাজ করেন না।
ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ অর্থ সংগ্রহ করতে এর এক্সিকিউটিভ লাউঞ্জে প্রদর্শিত বিভিন্ন প্রখ্যাত চিত্রকর্মও বিক্রির বিষয়টি বিবেচনা করছে।
এছাড়া ভবিষ্যতে হেথ্রোর সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করায় ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের সদর দপ্তর ভবনের ভবিষ্যত ইতোমধ্যেই অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে।