মাতারবাড়িতে ৫০০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র করবে ইন্দোনেশিয়া
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
সংগৃহিত
নিজস্ব প্রতিবেদক: কক্সবাজারের মাতারবাড়িতে ৫০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র করবে ইন্দোনেশিয়ার কোম্পানি পিটি পারতামিনা পাওয়ার। দেশের সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড এবং ইন্দোনেশিয়ার পিটি পারতামিনা পাওয়ার যৌথভাবে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করবেন।
গতকাল সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমঝোতা সই অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কোল পাওয়ার জেনারেশন কম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ এবং পারতামিনা পাওয়ার ইন্দোনেশিয়া’র স্ট্র্যাটেজিক পরিচালক ফাদলি রহমান সমঝোতা চুক্তিতে সই করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হিরু হারতান্তো সুবুলো।
প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ইন্দোনেশিয়ার সরকারি মালিকানার কোম্পানি পারতামিনা পাওয়ারের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্বারক সই হলো। এই সমঝোতার আলোকে ৫০০ মেগাওয়াট সোলার প্রকল্পে বিনিয়োগ করবে তারা। এই প্রকল্পে ৫০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হবে। এ জন্য যৌথ একটি কম্পানি গঠন করে ৫০ শতাংশ করে শেয়ারে মালিকানায় থাকবে পারতামিনা ও বাংলাদেশ কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ১১টি সৌরভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ৫২১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। বেসরকারি খাতে চলমান প্রকল্পগুলোর মধ্যে ৯টি পিপিএ-আইএ স্বাক্ষরিত প্রকল্পের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৬৯.২৭ মেগাওয়াট। বেসরকারি খাতে চলমান প্রকল্পগুলোর মধ্যে ২৯ টি এলওআই স্বাক্ষরিত প্রকল্পের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ২৬০৮ মেগাওয়াট।
“নবায়ণযোগ্য জ্বালানির প্রসারকে উৎসাহ দেয়া হচ্ছে। প্রতিবেশী দেশগুলো হতেও নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপন্ন বিদ্যুৎ আমদানির প্রচেষ্টা চলছে। একই সাথে নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি ও জমির স্বল্পতা নিয়েও আমরা কাজ করছি।”- বলে উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।