শিল্পপ্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা চান ব্যবসায়ীরা
নিজস্ব প্রতিবেদক: || বিজনেস ইনসাইডার
সংগৃহিত
নিজস্ব প্রতিবেদক: সম্প্রতি শিল্পপ্রতিষ্ঠানে অগ্নিকাণ্ড, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অনুরোধ করেছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীরা। আজ মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেন ব্যবসায়ীদের একটি প্রতিনিধি দল। সেখান থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স, বাংলাদেশের (আইসিসিবি) সভাপতি মাহবুবুর রহমান।
তিনি বলেন, শিল্পের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
গত পাঁচ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বেশ কয়েকটি কারখানায় লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এরপর গত দুদিন ধরে সাভার-আশুলিয়ায় বেশ কয়েকটি কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ চলছে। এই অবস্থার মধ্যেই প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বসলেন ব্যবসায়ীরা।
বৈঠকে দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীরা অংশ নেন। এদের মধ্যে ছিলেন- স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন চৌধুরী, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি একে আজাদ ও মীর নাসির হোসেন, বিজিএমইএ সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম এবং বিদেশি ব্যবসায়ীদের সংগঠন এফআইসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি নাসের এজাজ বিজয়।
বৈঠক সূত্রের বরাতে একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টাকে ব্যবসায়ীরা বলেছেন, যেসব কারখানার ভেতরে শ্রমিকেরা বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ করছেন, সেই দাবিগুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করবেন ব্যবসায়ীরা। তবে কারখানার ফটকে বহিরাগত শ্রমিকেরা বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ করছেন, ভাঙচুর চালাচ্ছেন।
'বহিরাগতরা কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের হুমকি দিয়ে রাস্তায় নামানোর চেষ্টা করছেন। এভাবে চলতে থাকলে কারখানা মালিকেরা লে–অফ ঘোষণা করতে বাধ্য হবেন। তখন পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করবে।'
বৈঠকে আলোচনার বিষয়ে স্কয়ার ফার্মার তপন চৌধুরী বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের শিল্পকারখানাগুলোতে এক ধরনের অস্থিরতা চলছে। ওষুধশিল্প থেকে শুরু করে এই অস্থিরতা বস্ত্র ও পোশাক কারখানায় গিয়ে পৌঁছেছে। আমরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে বিষয়গুলো তুলে ধরেছি। উনি (প্রধান উপদেষ্টা) এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
মীর নাসির হোসেন বলেন, গতকাল যখন একশোর বেশি কারখানা বন্ধ হয়ে গেল, তখন আমরা জরুরি ভিত্তিতে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের অনুরোধ জানাই। বৈঠকে আমরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে শিল্পকারখানার নিরাপত্তা চেয়েছি।
'প্রধান উপদেষ্টা আমাদের বলেছেন, সরকারের পক্ষে থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। যৌথ বাহিনীর অভিযানকে আরও শক্তিশালী করার কথাও বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি ব্যবসায়ীদের সহায়তাও চেয়েছেন,' যোগ করেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক এই সভাপতি।