পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের রিয়াক্টর রূপপুরে পৌঁছেছে
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: ফাইল ফটো
ঢাকা(১৭ নভেম্বর,২০২০) : বাংলাদেশে নির্মাণাধীন প্রথম পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র রূপপুরের ইউনিট ১ এর রিয়াক্টরের মুল যন্ত্রাংশ (নকশা ও বাস্তবায়নে জেএসসিএএসই,রোসাটমের প্রকৌশল শাখা ) রাশিয়া থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির কন্সট্রাকশন সাইটে পৌঁছেছে ।
মঙ্গলবার রোসাটম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই বিষয়টি জানানো হয়।
১০ই নভেম্বর একটি বিশেষ জাহাজে ভিভিইআর ১২০০ রিয়াক্টর প্রেসার ভেসেল ও স্টিম জেনারেটর পদ্মা নদীর নিকটবর্তী মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কন্সট্রাকশন সাইটের পাশে নবনির্মিত নদীবন্দরে হস্তান্তর করা হয় । এর আগে এটি ২০ অক্টোবর ডেইজী নামের একটি কার্গো জাহাজে করে মংলা সমদ্র্রবন্দরে আসে, সেখানে এটিকে আরেকটি বিশেষ জাহাজে তোলা হয়।
এই ভারী যন্ত্রাংশগুলোর ( রিয়াক্টর ভেসেল ও স্টিম জেনারেটরের ওজন যথাক্রমে ৩৩৩.৬ টন ও ৩৪০ টন) পরিবহনে প্রায় আড়াই মাস লেগেছে। নদী ও সমুদ্রপথ মিলিয়ে এগুলো প্রায় ১৪ হাজার কিলোমিটারের চেয়েও অধিক পথ অতিক্রম করে ।
রিয়াক্টর ভেসেল ও স্টিম জেনারেটরটি এইএম টেকনোলোজির (রোসাটমের মেশিন প্রস্তুতকারী শাখা এটোমএনারগোম্যাস জেএসসি) ভল্গোদোনস্ক শাখার এটোমম্যাস কারখানায় প্রস্তুত করা হয়েছে । এটোমম্যাস কারখানা থেকে এগুলোকে ট্রাকে করে ভল্গোদোনস্ক শহরের তিসিয়িনস্কি ওয়াটার রিজার্ভয়ারের বার্থে নেয়া হয়েছে , সেখান থেকে এগুলোকে জলপথে নভরোসিস্কে নেয়া হয়। নভরোসিস্ক বন্দর থেকে এগুলোকে কৃষ্ণ সাগর ও সুয়েজ খাল পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে নিয়ে আনা হয়। এই কঠিন পথের শেষে এগুলোকে পদ্মা নদী দিয়ে নিয়ে পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কন্সট্রাকশন সাইটে নিয়ে যাওয়া হয় ।
রিয়াক্টর একটি সিলিন্ডার আকৃতির খাড়া পাত্র, এর তল উপবৃত্তাকার, এর মধ্যে মুল এবং আভ্যন্তরীণ অংশ থাকে । স্টিম জেনারেটর একটি সিলিন্ডার আকৃতির পাত্র এবং এর দুইটি উপবৃত্তাকার তল রয়েছে। এটির মাঝে কুল্যান্ট সাপ্লাই ও রিমুভ করার কালেক্টর থাকে , উপরের অংশে একটি স্টিম স্পেস থাকে এবং নিচের অংশে ১১,০০০ স্টেইনলেস টিউবের ( প্রায় ১৪৮.৫ কিলোমিটার) তৈরি একটি হিট এক্সচেঞ্জ তল থাকে ।
রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশে রাশিয়ার নকশা অনুযায়ী নির্মিত হচ্ছে । বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্যে নির্ধারিত জায়াগাটি পদ্মা নদীর পুর্ব তীরে এবং বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে ১৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ।এই প্রকল্পটি ২০১১ সালে রাশিয়া –বাংলাদেশ আন্ত রাষ্ট্রীয় ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্টের পরিকল্পনা অনুযায়ী বাস্তবায়ন হচ্ছে । ২০১৩ সালের শেষের দিকে এটির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয় ।