Notice: Undefined index: HTTP_REFERER in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 2

Notice: Undefined index: HTTP_ACCEPT_LANGUAGE in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 14
অর্থনীতির সক্ষমতায় বৈদেশিক অনুদান ৩ শতাংশে নেমেছে 

বৃহস্পতিবার

১৪ নভেম্বর ২০২৪


৩০ কার্তিক ১৪৩১,

১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতির সক্ষমতায় বৈদেশিক অনুদান ৩ শতাংশে নেমেছে 

নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ০২:২৭, ২৪ নভেম্বর ২০২০  
অর্থনীতির সক্ষমতায় বৈদেশিক অনুদান ৩ শতাংশে নেমেছে 

সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: বিজনেস ইনসাইডার

ঢাকা (২৩ নভেম্বর): দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী হওয়ায় বৈদেশিক সহায়তার অনুদানের পরিমাণ ৩ শতাংশে নেমে এসেছে। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপিত অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রতিবেদনে এতথ্য জানানো হয়েছে। 

মন্ত্রীসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম স্বাধীনতার পর থেকে বৈদেশিক অনুদানের তুলনামূলক চিত্র উত্থাপন করে সাংবাদিকদের বলেন, ১৯৭১-৭২ সালে বৈদেশিক সহায়তার মধ্যে অনুদান ছিল সর্বোচ্চ ৮৬ শতাংশ, ঋণ ছিল ৬ থেকে ৮ শতাংশ। ২০০৯-১০ সালে অনুদান ছিল ৩০ শতাংশের মতো, ৭০ শতাংশের মতো ঋণ। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে অনুদান ছিল সর্বোচ্চ ৫ শতাংশের মতো, আর ৯৫ শতাংশই ছিল ঋণ।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা কিন্তু এটা থেকে বুঝা যাচ্ছে, কিভাবে শিফট হয়ে যাচ্ছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে অনুদান আরও কমে গেছে, ২/৩ শতাংশের মধ্যে রয়েছে, ৯৭ শতাংশেই আসছে লোন হিসেবে। আমরা আর দানের উপর নির্ভর করছি না। আমরা আমাদের নিজস্ব দক্ষতার উপর নির্ভরশীল। তিনি বলেন, সবচেয়ে মজার বিষয় হল, আমরা রি-পেমেন্টের ক্ষেত্রে কোনো দিনই ডিফল্টার হইনি, এটা একটা বড় সাকসেস।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, ১৯৯৭-৯৮ সালে বৈদেশিক সহায়তা ছাড় হয়েছিল ৭৪৮ মিলিয়ন ডলার, তখন জিডিপির ৩০ দশমিক ৪৭ শতাংশ ছিল ঋণের পরিমাণ। ২০১৯-২০ সালে বৈদেশিক সহায়তা ছিল ৭ হাজার ১২১ মিলিয়ন ডলার, তা ছিল জিডিপির ১৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ।

তিনি বলেন, এরমধ্যে আমাদের ডমেস্টিক ইনভেস্টমেন্ট অনেক বেড়ে গেছে। তাই এত টাকা বাড়ার পরও জিডিপির সঙ্গে এর অনুপাতটা অনেক কমে এসেছে। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত আমাদের অনুদান ৪৪ হাজার ২৩ মিলিয়ন ডলার, যা জিডিপির ১৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ।

ঋণের মধ্যে ৩৭ শতাংশ বিশ্ব ব্যাংকের, ২৪ দশমিক ৪৬ শতাংশ এডিবির, ১৭ দশমিক ৯ শতাংশ জাইকার, ৬ দশমিক ৮১ শতাংশ চীনের, ৬ দশমিক ১৪ শতাংশ রাশিয়ার, এক দশমিক ৩ শতাংশ ভারতের এবং অন্যান্য ৬ দশমিক ৪ শতাংশ।

১৯৮৯-৯০ অর্থবছরে এডিপি পাঁচ হাজার ১০৩ কোটি টাকা ছিল জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এরমধ্যে বৈদেশিক সাহায্য ছিল তিন হাজার ২৫৬ কোটি টাকা। এর মানে এডিপির ৬৩ শতাংশ ছিল বৈদেশিক সহায়তা। ২০০৯-১০ অর্থবছরে এডিপির বরাদ্দ ছিল ২৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে বৈদেশিক সহায়তা ছিল ১১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। এডিপিতে ফরেন এইডের কন্ট্রিবিউশন ছিল ৩৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বাংলাদেশের এডিপি হয়ে গেছে এক লাখ ৭৬ হাজার ৬২০ কোটি টাকা, বৈদেশিক সাহায্য আসছে ৫১ হাজার ৬৬০ কোটি টাকা। বৈদেশিক সাহায্য বেড়েছে, কিন্তু পার্সেন্টেজ নেমে এসেছে ২৯ দশমিক ২৫ এ। আমাদের নিজস্ব বিনিয়োগ এত বেড়ে গেছে যে, বাইরের লোন আসলেও এটা শতাংশের হারে অনেক নিচে।

তিনি বলেন, আমাদের ঝুঁকি নেই। বৈদেশিক ঋণ যখন জিডিপির ৪০ শতাংশ বা এর বেশি হয়ে যায় তখন ঝুঁকি থাকে। আমাদের জিডিপির তুলনায়  বৈদেশিক ঋণ হল ১৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ। আমরা অনেক সেইফটিতে আছি আল্লাহর রহমতে। 
 

Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়