শুক্রবার

২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪


৫ আশ্বিন ১৪৩১,

১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

বান্দরবনের সাইরু রির্সোটের ভ্যাট ফাঁকি 

নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ০১:৩৫, ১ ডিসেম্বর ২০২০  
বান্দরবনের সাইরু রির্সোটের ভ্যাট ফাঁকি 

ছবি: ফাইল ফটো

ঢাকা(৩০ নভেম্বর): বান্দরবনের পাহাড়ি রিসোর্ট সাইরু’র বিরুদ্ধে ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগের প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে ভ্যাট গোয়েন্দারা।

সোমবার সন্ধ্যায় ভ্যাট গোয়েন্দা অদিদপ্তর থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়েছে। 

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বান্দরবন শহর থেকে প্রায় ২৮ কিলোমিটার দুরে চিম্বুক রোডে সাইরু রিসোর্টটি অবস্থিত। এর মূসক নিবন্ধন নম্বর ০০১৫৭৭০৯৪-০৫০১। সোমবার ভ্যাট গোয়েন্দাদের একটি বিশেষ দল এই রিসোর্টে অভিযান চালায়। অভিযানের নেতৃত্ব দেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মো. মহিউদ্দীন। 

একই সময়ে ভ্যাট গোয়েন্দাদের আরেকটি দল সাইরু’র ঢাকার বনানীস্থ কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউর সফুরা টাওয়ারের ১৪ তলায় প্রধান কার্যালয়েও অভিযান চালায়। এতে উপপরিচালক তানভীর আহমেদ নেতৃত্ব দেন। 
প্রাথমিকভাবে দুটো অভিযানে ভ্যাট গোয়েন্দা দল ব্যাপক ভ্যাট ফাঁকির প্রমাণ পেয়েছে। গোয়েন্দারা ২০১৮ সাল থেকে রিজেন্টের প্রকৃত ব্ক্রিয় তথ্য উদ্ধার এবং কম্পিউটার থেকে তথ্যাদি জব্দ করেছে। এতে দেখা যায়, স্থানীয় বান্দরবন ভ্যাট সার্কেলে কর্তৃপক্ষ প্রকৃত বিক্রয় গোপন করেছে। যেমন সদ্যসমাপ্ত চলতি বছরের অক্টোবর কর মেয়াদের রিটার্নে (যা নভেম্বর ১৫ তারিখে দাখিলকৃত) হোটেলে সেবা বিক্রয় প্রদর্শন করেছে ১১ লাখ ৩৯ হাজার টাকা। যার উপর ১৫ শতাংশ হারে পরিশোধিত মূসক এক লাখ ৭০ হাজার টাকা এবং আদর্শ হার ব্যতীত বিক্রয় ৪ লক্ষ টাকা যার উপর ৭ দশমিক ৫শতাংশ হারে পরিশোধিত মূসক ৩০ হাজার টাকা।

উদ্ধার করা বিক্রয় তথ্য অনুসারে, ভ্যাট গোয়েন্দারা দেখতে পান যে, ঐ মাসে  বিক্রয় হয় এক কোটি ২৯ লাখ টাকা, যার উপর ১৫ শতাংশ হারে প্রদেয় মূসক ১৯ লাখ ৪৭ হাজার টাকা অর্থাৎ মূসকসহ মোট বিক্রয় এক কোটি ৪৮ লাখ টাকা। এই হিসাব অনুসারে চলতি বছরের অক্টোবর মাসে ভ্যাট ফাঁকি হয়েছে প্রায় ১৭লাখ ৪৭হাজার  টাকা। 

ভ্যাট গোয়েন্দারা অন্যান্য মাসেও অনুরূপ ফাঁকির তথ্য উদঘাটন করেছে। উদ্ধারকৃত তথ্যমতে, সাইরু রিসোর্ট গড়ে প্রতিমাসে ভ্যাট দিয়েছে প্রায় ১ লক্ষ টাকা। কিন্তু  প্রকৃত বিক্রয় অনুসারে ভ্যাট প্রযোজ্য হয় মাসে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা। 

ভ্যাট গোয়েন্দাদের কাছে মনে হয়েছে, সাইরু কর্তৃপক্ষ ক্রেতাদের নিকট হতে ভ্যাট আদায় করলেও তা যথাযথভাবে সরকারি কোষাগারে জমা দেয়নি। ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে তারা আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছে। জব্দকৃত কাগজপত্র যাচাই ও আরো তদন্ত শেষে সাইরু রিসোর্টের বিরুদ্ধে ভ্যাট আইনে মামলা করার প্রস্তুতি চলছে। 
 

Nagad
Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়