সীসাবার মিরাজের আড়াই কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকি
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: ফাইল ফটো
ঢাকা (০৭ ডিসেম্বর): গুলশানের সীসাবার দি মিরাজ বিক্রয় তথ্য গোপন করে আড়াই কোটির টাকার ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে। ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা সোমবার এই প্রতিষ্ঠানটিতে অনুসন্ধানে এই ভ্যাট ফাঁকির তথ্য পান। অনুসন্ধানশেষে এই দি মিরাজের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
সোমবার বিকালে ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তর থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গুলশানের সীসাবার দি মিরাজ ৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকার বিক্রয় তথ্য গোপন করে দুই কোটি ৫৪ রঅখ টাকার ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে।
ভ্যাট গোয়েন্দাদের অনুসন্ধানে দি মিরাজ ৯ কোটি ৩৩ লক্ষ টাকার বিক্রয় তথ্য গোপন করেছে যার মাধ্যমে এক কোটি ৩৯ লাখ টাকার মূসক ফাঁকি দিয়েছে। এই অভিযোগে ঢাকা উত্তর কমিশনারেট এর অধীন নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ভ্যাট আইনে মামলা দায়ের করা হয়।
ভ্যাট ফাঁকির সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গত ১২ নভেম্বর অভিজাত এলাকা গুলশানের ৩নং সড়কের ৯/এ বাড়িতে অবস্থিত দি মিরাজ সীসাবারে অভিযান পরিচালনা করে ভ্যাট গোয়েন্দা দল।
অভিযানকালে গোয়েন্দারা দেখতে পান, রেস্টুরেন্টের আড়ালে তারা সীসাবার পরিচালনা করছে। কোন বৈধ কাগজ দেখাতে না পারায় সীসাবারের প্রাঙ্গণ থেকে ১৫ কেজি সিসা এবং সিসা পরিবেশনের নানাসামগ্রী আটক করে।এছাড়া গোয়েন্দারা প্রতিষ্ঠানের বাণিজ্যিক দলিলাদিও জব্দ করে।
প্রতিষ্ঠানটির মূসক নিবন্ধন অনুযায়ী ব্যবসায়িক নাম ‘দি ফ্রেন্ডস হাউস লিঃ’; ভ্যাট নিবন্ধন নং: ০০৩২৬৯০৪৭-০১০১।
অভিযানটিতে নেতৃত্ব দেন ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক তানভীর আহমেদ এবং সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মহি উদ্দিন।
পরবর্তীতে জব্দকৃত এবং অনুসন্ধানের মাধ্যমে সংগৃহীত তথ্য ও দলিলাদির ভিত্তিতে জুলাই/২০১৩ হতে অক্টোবর/২০২০ পর্যন্ত সময়ে শুধুমাত্র বিক্রয়ের উপর ১.৪০ কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকি উৎঘাটন করা হয়। ভ্যাট আইন অনুসারে, এই ফাকিকৃত ভ্যাটের উপর মাসভিত্তিক ২ শতাংশ হারে ৯৮ লক্ষ টাকা সুদ প্রযোজ্য।
এই সময় তথ্য অনুসন্ধানে আরো দেখা যায়, সীসাবারটি বিভিন্ন সেবা ক্রয়ের উপর ৮.৪০ লক্ষ টাকা উৎসে ভ্যাট ফাঁকির সাথে জড়িত। এর উপর মাসভিত্তিক ২% হারে সুদ ৭.৮৮ লক্ষ টাকা প্রযোজ্য হবে।
দি মিরাজ প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে বিক্রয় এবং উৎসে কর্তন বাবদ সর্বমোট ১.৪৮ কোটি টাকা মূসক ফাঁকি উদঘাটন করা হয়। উক্ত ফাঁকিকৃত মূসক এর উপর সুদ বাবদ মোট ১.০৬ কোটি টাকা প্রযোজ্য হবে। অর্থাৎ প্রতিষ্ঠানটি সর্বমোট ২.৫৪ টাকা রাজস্ব ফাঁকির সাথে জড়িত।