‘টেকসই জ্বালানীতে অগ্রগতি অর্জনকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম’
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
ফাইল ছবি
ঢাকা (১৫ ডিসেম্বর): টেকসই জ্বালানীর ক্ষেত্রে বিশ্বে অগ্রগতি অর্জনকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। বিশ্বেব্যাংকের এক প্রতিবেদন সম্প্রতি এ কথা বলা হয়েছে। খবর বাসস।
বিশ্বব্যাংক বলেছে, যথেষ্ট বিদ্যুৎ সুবিধার ঘাটতি রয়েছে এমন দেশগুলোর মধ্যে ইথিওপিয়া, নাইজেরিয়া ও তানজানিয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশ টেকসই জ্বালানী নীতি গ্রহনে অগ্রগতি লাভ করেছে।
জ্বালানী নীতি বিষয়ে বৈশ্বিক অগ্রগতি সংক্রান্ত বিশ্বব্যাংকের নতুন প্রতিবেদন আরআইএসই ২০২০ অনুসারে বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশই ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে টেকসই জ্বালানী নীতিতে অগ্রগতি লাভ করেছ। এ খাতে সবচেয়ে বেশি অগ্রগতি হয়েছে সাব সাহারা আফ্রিকাতে।
বিশ্বব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগের তুলনায় সার্বিক ভাবে বৈশ্বিক নীতিগত অগ্রগতি অপেক্ষাকৃত ধীর। এক্ষেত্রে নবায়নযোগ্য শক্তি ও জ্বালানি দক্ষতার ক্ষেত্রটি বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য।
টেকসই জ্বালানী সংক্রান্ত নিয়ন্ত্রক সূচক (আরআইএসই) ২০২০ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি ৭) অর্জণের জন্য চারটি লক্ষ্য যেমন নবায়নযোগ্য জ্বালানী, জ্বলানী দক্ষতা, বিদ্যুত ব্যবহার করার সুযোগ এবং দূষণমুক্ত রান্নার সুবিধার বিষয়ে ১৩৮টি দেশে নীতিগত অগ্রগতি বিবেচনা করেছে। এই চার লক্ষ্য অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে সবার জন্য সাশ্রয়ী, নির্ভরযোগ্য, টেকসই এবং আধুনিক জ্বালানী সুবিধা অর্জনের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট মখতার দিওপ বলেন, করোনা মহামারি আঘাত হানার আগে আমাদের যে অগ্রগতি হয়েছিল, তা অব্যহত রাখতে হবে। মহামারী পরবর্তী পুনরুদ্ধার এবং কম কার্বন নিঃসরণের বিষয়ে নীতি নির্ধারকদের টেকসই জ্বালানী নীতি গ্রহন এবং জ্বালানী সার্বজনীন সুবিধা লাভের গতি ত্বরান্বিত করতে হবে। তিনি বলেন, পুনরুদ্ধার পরিকল্পনাগুলোতে দীর্ঘ মেয়াদী কৌশল নির্ধারণ এবং পরবর্তী দশকে এসডিজি ৭ লক্ষমাত্রার সঙ্গে জ্বালানী নীতিগুলোর সমন্বয় করতে হবে।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নীতিগত অগ্রগতি ২০১৭ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত বিদ্যুৎ এবং দূষণমুক্ত রান্নার সুবিধা লাভের সুযোগ ত্বরান্বিত করেছে। মিনি গ্রিড এবং স্ট্যান্ড অ্যালান পাওয়ার সিস্টেম গ্রিডের তুলনায় বিদ্যুৎ সুবিধার জন্য জ্বালানী বিতরণের অভিযোজন বৃদ্ধি পেয়েছে।