রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার পেল ১৯ প্রতিষ্ঠান
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন থেকে পুরস্কার নিচ্ছেন একটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, বিজনেস ইনসাইডার
ঢাকা(২৮ ডিসেম্বর): দেশের ১৯টি শিল্প প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার-২০১৮ পেয়েছে।এর মধ্যে বৃহৎ শিল্প ক্যাটাগরিতে ৪টি, মাঝারি শিল্প ক্যাটাগরিতে ৪টি, ক্ষুদ্র শিল্প ক্যাটাগরিতে ৩টি, মাইক্রো শিল্প ক্যাটাগরিতে ৩টি, কুটির শিল্প ক্যাটাগরিতে ৩টি এবং হাইটেক শিল্প ক্যাটাগরিতে ২টি প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হয়েছে।
সোমবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁও আনুষ্ঠানিকভাবে এ সকল সেরা শিল্প প্রতিষ্ঠানকে রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার-২০১৮ পুরষ্কার দেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার ও এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম।
বৃহৎ শিল্প ক্যাটাগরিতে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানী লিমিটেড, ইনসেপটা ফার্মাসিউটিক্যালস্ লি:, এনার্জিপ্যাক ইঞ্জিনিয়ারিং লি: ও অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড পুরস্কার লাভ করে।
মাঝারি শিল্প ক্যাটাগরিতে তাফরিদ কটন মিলস্ লি:, শেলটেক টেকনোলজি লিমিটেড, অকো-টেক্স লি: ও মেসার্স এনভয় ফ্যাশন লি: পুরস্কার লাভ করে।
ক্ষুদ্র শিল্প ক্যাটাগরিতে কনসেপ্ট নীটিং লিমিটেড, এপিএস ডিজাইন ওয়ার্কস্ লি: ও সামিট অয়েল এন্ড শিপিং কোম্পানি লি: পুরস্কার লাভ করে।
মাইক্রো শিল্প ক্যাটাগরিতে ট্রিম টেক্স বাংলাদেশ, মাসকো ওভারসিস্ লিমিটেড ও ক্রিমসন রোসেলা সী ফুড লি: পুরস্কার লাভ করে।
কুটির শিল্প ক্যাটাগরিতে ক্লাসিক্যাল হ্যান্ডমেইড প্রোডাক্টস্ বিডি, ইন্টেলিডেন্ট কার্ড লি: ও রূপকথা যুব ও মহিলা উন্নয়ন সংস্থা পুরস্কার লাভ করে।
হাইটেক শিল্প ক্যাটাগরিতে সার্ভিস ইঞ্জিন লিমিটেড ও মেটাটিউড এশিয়া লি: পুরস্কার লাভ করে।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, বিশ্ব অর্থনীতির পরিবর্তিত পরিস্থিতি, এসডিজি ২০৩০ ও রূপকল্প ২০৪১ বিবেচনা করে জাতীয় শিল্পনীতি ২০২১ প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এরইমধ্যে সংশ্লিষ্ট স্টেক হোল্ডারদের সাথে নিয়ে নতুন শিল্পনীতিরি প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে শিল্প মন্ত্রণালয়।
তিনি বলেন, হালকা প্রকৌশল শিল্পখাতের উন্নয়নে ইতোমধ্যে একটি পরিকল্পিত ও সময়াবদ্ধ রোডম্যাপ প্রণয়ন করা হচ্ছে। পাশাপাশি একটি বিশ্বমানের ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডাটাবেজ এবং শিল্প বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনেরও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার সিন্ডিকেট ও কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রবণতা বন্ধের জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি আহবান জানান। তিনি বলেন, সকল ধরণের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে, তাই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কোন কারণ নেই। তিনি প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রনোদনা প্যাকেজের অর্থকে কাজে লাগিয়ে প্রতিষ্ঠানের কর্মপরিবেশ উন্নয়ন ও উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমে নতুন প্রযুক্তির সন্নিবেশ করার জন্য উদ্যোক্তাদের প্রতি আহবান জানান।