বছরের শুরুতে মাংসের দাম বেড়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: বিজনেস ইনসাইডার
ঢাকা(০২ জানুয়ারি): বছরের শুরুতে সকল ধরনের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কিছুটা কমলেও বেড়েছে সকল ধরনের মাংসের দাম। মাংসের দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে বিক্রেতারা বলছেন, বছরের এই সময়টাতে নানা ধরনের অনুষ্ঠানের কারণে মাংসের চাহিদা বেড়ে যায়। যে কারণে এখন দাম একটু বেশি।
শনিবার সরেজমিন কাওরান বাজার ও মোহাম্মদ কৃষি মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য পেঁয়াজ, আলুসহ সব ধরনের সবজির দাম কমেছে ৫ থেকে ১০ টাকা। খুচরা বাজারে নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, আলু ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। অন্যদিকে, গরুর মাংসের দাম বেড়েছে ২০-৩০ টাকা। খাসির মাংসের ৪০-৫০ টাকা এবং মুরগীর দাম ১০-১৫ টাকা।
কাওরান বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা রফিকুল আলম বিজনেসইনসাইডার'কে জানান, এ সপ্তাহে আলু, পেঁয়াজের দাম কমেছে গড়ে ১০-১৫ টাকা। গত সপ্তাহে পেঁয়াজ বিক্রি করেছি ৪৫-৫০ টাকা, আলু ৪৫ টাকা। এ সপ্তাহে পেঁয়াজ এবং আলু ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি করছি। বাজারে আলু, পেঁয়াজের সরবরাহ বেশি থাকায় দাম কমেছে।
অপরদিকে, পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২২ থকে ২৬ টাকা। আলু ২০ থেকে ২৫ টাকা। গত সপ্তাহ থেকে প্রায় ১০ টাকা কমেছে পাইকারি বাজারে । তিনি আরও জানান, ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ বাজারে আসলে আরও দাম কমে যাবে। এখানে উল্লেখ্য, পাইকারি বাজারে ৫ কেজির নিচে কোন ধরনের পেঁয়াজ বিক্রি করে না।
কাওরান বাজারের সবজি বিক্রেতা মাসুম শেখ বিজনেসইনসাইডার'কে জানান, গত সপ্তাহ থেকে এ বছরের শুরুতেই মৌসুমী সবজির সরবরাহ বেড়েছে। প্রায় সব ধরনের সবজির দাম গড়ে ৩০-৪০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, গত সপ্তাহে কাঁচামরিচ কেজি প্রতি ৯০ থেকে ১০০ টাকা বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে ৮০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শিম ৩০ টাকা থেকে বেড়ে ৪০ টাকা, মুলা ১০ থেকে ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাঁকা টমেটো ৯০ টাকা থেকে কমে ৬০ টাকায়, বাঁধাকপি ২৫ টাকা,ফুলকপি ২০ টাকা, লম্বা বেগুন ২০ টাকা গোল বেগুন ৩০ টাকা, গাজর ৩০ টাকা, শালগম ২০ টাকা, শসা ৩০ টাকা কেজি।
কাওরানবাজারের মাংস বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম বিজনেসইনসাইডার'কে জানান, গরুর মাংসের দাম কেজিতে বেড়েছে ২০-৩০ টাকা। খাসির মাংসের দাম বেড়েছে প্রায় ৫০ টাকা। এছাড়া মুরগী বিক্রেতা সুমন মিয়া জানান, প্রতি কেজি ফার্মের মুরগী বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা থেকে বেড়ে ১৩০ টাকা, পাকিস্তানি কর্ক ২৩০ টাকা এবং দেশি মুরগী ৪৩০ থেকে ৪৫০ টাকা।
তবে ভোজ্যতেল ও চালের দাম স্থিতিশীল। বর্তমানে রূপচাঁদা, তীর, বসুন্ধরা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে বাজারভেদে ১ লিটার তেলের বোতল ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়। খোলা সয়াবিন তেল লিটার প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা। বাজারে মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, নাজির শাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৬৮ টাকা, আটাশ চাল ৫৩ থেকে ৫৫ টাকা এবং চিনিগুরা ৯৫ থেকে ১০০ টাকা।