শুক্রবার

২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪


৫ আশ্বিন ১৪৩১,

১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

প্রণোদনার কারণে অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে পেরেছি: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ০০:৩২, ২৯ অক্টোবর ২০২০   আপডেট: ০০:৩৩, ২৯ অক্টোবর ২০২০
প্রণোদনার কারণে অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে পেরেছি: প্রধানমন্ত্রী

ছবি: ফাইল ফটো

ঢাকা (২৮ অক্টোবর) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, করোনাভাইরাস থাকার পরে প্রণোদনার জন্য আমাদের অর্থনীতির চাকাকে আমরা সচল রাখতে সক্ষম হয়েছি। আমরা যে প্রণোদনাটা দিয়েছি তাতে সকলেই ব্যবসা-বাণিজ্য চালিয়ে যাওয়ার মতো প্রণোদনা পেয়েছেন।

আজ বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংক (বিএবি) নেতৃবৃন্দকে নিয়ে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও  কনফারেন্সের মাধ্যমে দেওয়া ভাষণে তিনি একথা বলেন।

৩৫টি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের সংগঠন বিএনবি’র পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে আসন্ন শীত মওসুম উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর  ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে ২৫ লাখ ৯৫ হাজার পিস কম্বল  প্রদান করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তাঁর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এই অনুদান গ্রহণ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা জিডিপির প্রায় ৪ শতাংশের মতো প্রণোদনা দিয়েছি। সেটা ব্যবসায়ীসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ এবং সাধারণকে অর্ন্তভুক্ত করে করা হয়েছে। যার ফলে কিছুটা হলেও মানুষ স্বস্তি  ফিরে পেয়েছে।

তিনি বলেন, সরকার ব্যাংক দিয়ে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে  বেসরকারি  ব্যাংকগুলোও  যদি এগিয়ে আসে তাহলে শুরুতে হয়তো  একটু সমস্যা হবে। তবে, ব্যবসা-বাণিজ্য যদি শুরু হয়ে যায় তবে বেসরকারি ব্যাংকগুলোও লাভবান হবে এতে কোনো সন্দেহ নেই।

প্রধানমন্ত্রী  বলেন,  আমাদের প্রণোদনা প্যাকেজে আমরা যে সব সুযোগ দিয়েছি তাতে অল্প সুদে ক্ষুদ্র  ব্যবসায়ীদের আর্থিক  সহায়তার একটি পদক্ষেপ রয়েছে। তবে, এ ব্যাপারে আমি মনে করি, আমাদের বেসরকারি ব্যাংকগুলোর আরেকটু আন্তরিক হওয়ার দরকার।

ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশনের এই সহযোগিতাকে ‘বদান্যতা’ আখ্যায়িত করে শেখ হাসিনা বলেন, যখনই দেশে কোন দুর্য়োগ-দুর্বিপাক দেখা দেয় তখনই বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংক (বিএবি) নেতৃবৃন্দ মানুষের পাশে দাঁড়ান। তাঁদের এই বদান্যতার কারণে আমরা মানুষকে অনেক সহযোগিতা করতে পারি।

তিনি বলেন, এবার যেভাবে বৃষ্টি হয়েছে এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়েছে তাতে মনে হচ্ছে শীতের সময় এর প্রকোপটাও বেশি হতে পারে। সেজন্য শীত আসার আগেই বিএবি’র নেতৃবৃন্দ কিছু শীতবস্ত্র তথা কম্বল দেওয়ার প্রস্তাব দেয়ায় আমি অত্যন্ত খুশী হয়েছি। কারণ, মানুষের কাছে আমরা এটা পৌঁছাতে  পারবো এবং শীতে মানুষের উপকার হবে, সেজন্য তাঁদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

করোনাভাইরাসের কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে সব কিছুতে বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী স্থবিরতা নেমে আসার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের জনগণের সাহস ও মনোবলের প্রশংসা করেন এবং করোনা মোকাবেলায় তাঁর সরকারের সময়োচিত ও যথাযথ পদক্ষেপের উল্লেখ করেন। 

তিনি বলেন, আমি এইটুকু বলতে পারি আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক হিসেবে কাজ করছি। কাজেই যেকোনো দুর্যোগ-দুর্বিপাক মোকাবেলা করার মতো বাংলাদেশের মানুষের মনবল আছে এবং সাহস আছে। সেই সাহসিকতা নিয়েই এ দেশের মানুষ চলে। 

Nagad
Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়