ডিসেম্বরে চালের দাম বেড়েছে ৫-৮ টাকা
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: বিজনেস ইনসাইডার
ঢাকা (১০ জানুয়ারি): ঢাকার বাজারে ডিসেম্বর মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে কয়েক বার। এর মধ্যে রয়েছে চাল, খোলা ভোজ্যতেল, পামওয়েল, পেঁয়াজ, মসুর ডাল, আলু, চিনি ইত্যাদি। পেঁয়াজ মূল্য বৃদ্ধিতে সবার ওপরে থাকলেও জানুয়ারির শুরুতে ২০-২৫ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে এখন ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়।
বাজারে সব ধরনের চিকন, মাঝারি ও মোটা চালের দাম গড়ে কেজি প্রতি ৫-৮ টাকা করে বেড়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনা মহামারীতে অনেক হাসকি মিল বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং ধানের দাম বেশি হওয়ায় বেড়েই চলেছে চালের দাম।
সরেজমিনে রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চিকন চাল বিক্রি হচ্ছে ৬২ থেকে ৬৫ টাকায়, যা আগে ছিল ৫২ থেকে ৫৫ টাকা। মাঝারি চিকন চাল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা থেকে ৬৫ টাকায়, যা ছিল ৫৫ টাকা থেকে ৬০ টাকা। আর মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়, যা এক মাস আগেও বিক্রি হয়েছে ৪৭ থেকে ৫০ টাকায়।
ডিসেম্বরে, ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এর প্রকাশিত এক প্রতিবেদনেও চালের দাম বাড়ার বিষয়টি উঠে এসেছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, মিনিকেট ও নাজিরশাইল (চিকন) চালের দাম বেড়েছে ৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ। মাঝারি পাইজাম ও লতা চালের দাম বেড়েছে ৯.৭ শতাংশ। মোটা চালের দাম এক দশমিক ১০ শতাংশ বেড়েছে।
আমনের ভরা মৌসুমেও চালের মূল্যের ঊর্ধ্বগতি থামছে না কিছুতেই। চালের দাম বাড়ার কারণে মধ্য ও নিন্ম আয়ের মানুষেরা বিপাকে পড়েছেন বেশি।
গত মাসের শুরুতে পেঁয়াজ ৬০ টাকা প্রতি কেজি বিক্রি হলেও মাঝে আবার ৭০ টাকায় বিক্রি হয়। গড়ে ৫৫-৬৫ টাকায় সারা মাস পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে। তবে ডিসেম্বর মাস শেষের দিকে বাজারে নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়লে দাম কমে ৩৫-৪৫ টাকায় বিক্রি হয়। কিন্তু রোববার (১০জানুয়ারি) কারওয়ান বাজারে দেখা যায়, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়।
এদিকে, কারওয়ান বাজারের পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতা মোঃ লুৎফর রহমান বিজনেসইনসাইডারকে জানান, বাজারে স্থানীয় দেশীয় পেঁয়াজের গুণগত মান ও চাহিদা ভালো থাকায় ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা নেই। আর দাম বেশি হওয়ায় কারওয়ান বাজারে এখনো ভারতের পেঁয়াজ আসেনি।
কারওয়ান বাজারের খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা মোঃ তাকের মিয়া বিজনেসইনসাইডারকে জানান, দেশি পেঁয়াজের দাম ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকায় ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা নেই। বাজারে দেশি পেঁয়াজের চাহিদা বেশি, দামও কম। আর তুলনামূলক বেশি দাম হওয়ায় ভারতীয় পেঁয়াজ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।
ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে বেড়েছে সব ধরনের ভোজ্যতেলের দাম। প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ৫ থেকে ১০ টাকা, বোতলজাত তেল কোম্পানি ভেদে ১০- ১৫ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২৫ টাকায়।