Notice: Undefined index: HTTP_REFERER in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 2

Notice: Undefined index: HTTP_ACCEPT_LANGUAGE in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 14
সাইরু রিসোর্টের বিরুদ্ধে ২.১২ কোটি টাকা ভ্যাট ফাঁকির মামলা

শুক্রবার

১৫ নভেম্বর ২০২৪


১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১,

১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সাইরু রিসোর্টের বিরুদ্ধে ২.১২ কোটি টাকা ভ্যাট ফাঁকির মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ০২:৫৪, ১৩ জানুয়ারি ২০২১   আপডেট: ০৩:০৭, ১৩ জানুয়ারি ২০২১
সাইরু রিসোর্টের বিরুদ্ধে ২.১২ কোটি টাকা ভ্যাট ফাঁকির মামলা

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা (১২ জানুয়ারি): বান্দারবানের টুরিস্ট রিসোর্ট হিসেবে খ্যাত সাইরুর বিরুদ্ধে ২.১২ কোটি টাকা ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগে মামলা করেছে ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তর। ভ্যাট আইনের অধীনে ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তরে এ মামলা করা হয়েছে।

৩০ নভেম্বর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভ্যাট গোয়েন্দার একটি দল সাইরু রিসোর্টে অভিযান চালায়। অভিযানে গোয়েন্দারা রিসোর্ট প্রাঙ্গন থেকে কম্পিউটার থেকে তথ্য ও অন্যান্য কাগজপত্র জব্দ করে। এই অভিযানের সূত্রে দীর্ঘ তদন্তের পর ভ্যাট ফাঁকির পরিমাণ চূড়ান্ত করা হয়। এই মামলাটি চট্টগ্রাম ভ্যাট কমিশনার বিচারিক প্রক্রিয়ায় ন্যায় নির্ণয়ন করবেন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ফাঁকির টাকার দ্বিগুণ জরিমানা হতে পারে।

তদন্ত অনুসারে রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ বান্দারবান ভ্যাট অফিসে তাদের প্রকৃত বিক্রির হিসাব গোপন রেখে রিটার্ন পেশ করে আসছিল। ভ্যাট গোয়েন্দার অভিযানে তাদের প্রকৃত বিক্রয় হিসাব উদ্ধার করা হয়।

তদন্তে দেখা যায়, সাইরু ২০১৮ সালের নভেম্বর হতে ২০২০ এর অক্টোবর পর্যন্ত ২৪ মাসে ১.৭০ কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে। ভ্যাট আইন অনুযায়ী সময়মতো ভ্যাট না দেয়ায় ২% হারে ৪২ লক্ষ টাকার সুদ প্রযোজ্য হবে। ওই ২৪ মাসে সর্বমোট ফাঁকি হয়েছে ২.১২ কোটি টাকা।

তদন্তে আরো দেখা গেছে যে, সাইরু গেস্টদের কাছ থেকে চালানের মাধ্যমে ভ্যাট সংগ্রহ করেছে। কিন্তু এই টাকার একটা বড় অংশ সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে আত্মসাত করেছে।

তবে করোনার সময়ে এপ্রিল/২০২০ থেকে জুলাই/২০২০ পর্যন্ত ৪ মাস রিসোর্ট বন্ধ ছিল। তদন্তে ঐ মাসগুলোর ভ্যাটের হিসাব ধরা হয়নি।

প্রতিষ্ঠানটি গড়ে প্রতি মাসে এক লক্ষ টাকা ভ্যাট দিয়ে রিটার্ন দাখিল করে আসছিল। তদন্ত অনুসারে সাইরু রিসোর্টের প্রতি মাসে গড়ে ১০ লক্ষ টাকা ভ্যাট প্রদেয় হয়। সেই হিসাবে তারা দশ ভাগের এক ভাগ ভ্যাট দিত।

ভ্যাট গোয়েন্দার কাছে গোপন সংবাদ থাকায় ঢাকা থেকে গোপনে বান্দারবানে গিয়ে অভিযানটি পরিচালনা করা হয়। এতে নেতৃত্ব দেন সংস্থার উপ পরিচালক তানভীর আহমেদ। মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা রিসোর্টের কার্যক্রম কঠোর নজরদারিতে আনার জন্য চট্টগ্রাম ভ্যাট কমিশনারকে অনুরোধ করেন।

Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়