অনলাইন ব্যবসা: বিশ্বের সবচেয়ে ১০ খারাপ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ
বিআই ডেস্ক || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা (১৫ জানুয়ারি): অনলাইন ব্যবসা শুরু করার ক্ষেত্রে বিশ্বের সবচেয়ে ১০টি খারাপ দেশের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ। এক স্টাডির মাধ্যমে এ তালিকা করেছে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক কোম্পানি বেস্ট অ্যাকাউন্টিং সফটওয়্যার।
এ স্টাডিতে বিশ্বের ৯৯টি দেশের ২০টি বিভিন্ন ক্যাটাগরি বিবেচনায় আনা হয়েছে। বিবেচ্য নানা বিষয়ের মধ্যে রয়েছে ইন্টারনেটের আওতা এবং ব্যবহার, একটি দেশের সম্পদ এবং কতটা স্বাচ্ছন্দে ব্যবসা করা যায়, দক্ষ জনশক্তি এবং লজিস্টিক সুযোগ সুবিধা।
তালিকায় ৯৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৯১তম। তালিকার তলানীতে বাংলাদেশের পাশাপাশি রয়েছে ভেনেজেুয়েলা, উগান্ডা, জাম্বিয়া, পাকিস্তান এবং তাজিকিস্তানের নাম।
দ্বিতীয় সর্বনিম্ন মোবাইল ইন্টারনেট স্পিড (১০ দশমিক ২৮ এমবিপিএস) সহ ইন্টারনটে সংক্রান্ত অন্যসব ক্ষেত্রেও কম স্কোর নিয়ে বাংলাদেশ তালিকার নিচের দিকে থাকা ১০ দেশের প্যাটার্ন অনুসরণ করেছে।
স্টাডিতে বলা হয়েছে, ‘এতে দেখা গেছে একটি ব্যবসা শুরু করতে সময় লাগে মাত্র ২০ দিন আর এতে মোট জাতীয় আয়ের (জিএনআই) ৮ দশমিক ৭ শতাংশ খরচ হয়।’
মোবাইল ইন্টারনেট এবং ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট স্পিড, ফিক্সড ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা, ইন্টারনেট ব্যবহারকারী এবং নিরাপদ ইন্টারনেট সংযোগের মতো বিষয়গুলো এ স্টাডি তৈরীর সময় প্রধান বিষয় হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।
স্টাডিতে বিবেচ্য অন্যান্য বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে কর্পোরেট ট্যাক্স রেট, জিএনআই, নিয়ন্ত্রক দক্ষতা এবং মার্কেটের অকপটতার মতো অর্থনৈতিক সূচক।
এ তালিকার শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে রয়েছে সুইজারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি এবং সিঙ্গাপুরের নাম।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রতি বছর ই-কমার্স বাণিজ্য বাড়ছে। ইমার্কেটার পূর্বাভাসে বলেছে ২০২৩ সালের মধ্যে এ খাতে বিক্রির পরিমাণ দাঁড়াবে ৬ দশমিক ৫৪২ ট্রিলিয়ন ডলার। এ পরিমাণ মোট খুচরা বিক্রির ২২ শতাংশ যা ২০১৯ সালে ছিল ১৪ দশমিক ১ শতাংশ।
করোনা মহামারিতে দেশ লকডাইনে চলে যাওয়ায় বাংলাদেশেও ই-কমার্স বাণিজ্যের বড় ধরণের প্রসার লক্ষ্য করা গেছে। এ সংক্রান্ত প্রাতিষ্ঠানের তথ্যে দেখা গেছে লকডাউনের সময় বাংলাদেশে ৩,০০০ কোটি টাকার পণ্য ই-কমার্সের মাধ্যমে বিক্রি হয়েছে।
এ মহামারির আগে ই কমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সদস্য সংখ্যা ছিল ১০০০। কিন্তু ছয় মাসে তা ১,৪০০ তে পৌঁছে গেছে। ই-ক্যাবের কোভিড-১৯ প্রভাব বিশ্লেষণে দেখা গেছে এর সদস্য সংখ্যা ৪০ শতাংশ বেড়েছে।
এরপর থেকে ই-কমার্সের বিভিন্ন উদ্যোগ আরো বেড়ে গেছে। এর মাধ্যমে দেশে প্রায় ৬০ লাখ সরাসরি সুবিধা ভোগী সৃষ্টি হয়েছে।
ই-ক্যাবের তথ্যে দেখা গেছে লকডাউনের সময় এর সদস্য কোম্পানিগুলো সারাদশে ২০,০০০ বিভিন্ন পণ্য সরবরাহ করেছে।