করোনায় বেড়েছে অ্যাপ-ভিত্তিক ব্যাংকিং সেবা
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: বিজনেস ইনসাইডার
ঢাকা (২৭ জানুয়ারি): চলমান করোনভাইরাস মহামারীতে বাংলাদেশে অ্যাপ-ভিত্তিক ব্যাংকিং সেবা বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। কারণ এ অ্যাপ ব্যবহারের মাধ্যমে গ্রাহকরা খুব সহজেই শারীরিক যোগাযোগ এড়িয়ে লেনদেন করতে পারেন।
গ্রাহকরা স্মার্টফোনে এসব অ্যাপসের মাধ্যমে দিনের যে কোনও সময় ব্যাংকের শাখায় না গিয়ে ফান্ড ট্রান্সফার এবং অনলাইন পেমেন্টের মতো বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সেবা পেতে পারেন।
একটি বেসরকারী ব্যাংকের কর্মকর্তা সম্প্রতি বিজনেস ইনসাইডার বাংলাদেশকে জানিয়েছেন, “বেশিরভাগ গ্রাহক অ্যাপ-ভিত্তিক ব্যাংকিংয়ে অভ্যস্ত নন। তবে এ মহামারীর সময়ে, বেশ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক গ্রাহক ব্যাংকের শাখায় না গিয়েই ব্যাংকের নানা সেবা নেয়ার চেষ্টা করেছেন। তারা অ্যাপ-ভিত্তিক এ ব্যাংকিং সেবাকে বেশ সুবিধাজনকই মনে করছেন।”
অ্যাসোসিয়েশন অফ ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (এবিবি) অনুসারে, মহামারীর এ সময়ে অ্যাপ্লিকেশন ভিত্তিক ব্যাংকিং সেবা সংক্রান্ত দৈনিক আসা প্রশ্ন বা অনুরোধের সংখ্যা ২০০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে।
এবিবির চেয়ারম্যান আলী রেজা ইফতেখার বিজনেস ইনসাইডার বাংলাদেশকে বলেন, “এটি অত্যন্ত বড় ধরনের পরিবর্তন। মহামারী শুরুর আগে একদিনে ব্যাংকিং অ্যাপের মাধ্যমে প্রায় ১০০ টি অনুরোধ আসতো। তবে প্রতিদিনের এ সংখ্যা এখন প্রায় ৩৫০ ছাড়িয়ে গেছে।”
তিনি বলেন, এ বিষয়টি ব্যবহারকারীদের মধ্যে আরও স্বচ্ছতা বয়ে আনবে। এটি গ্রাহকদের জন্যও সুবিধাজনক বলে উল্লেখ করেন ইফতেখার।
বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের অভিযোগ অ্যাপ্লিকেশনসহ মোট ৩৭ টি ব্যাংকের অ্যাপ রয়েছে।
কিছু গ্রাহক অবশ্য বলছেন যে, দেশের ব্যাংকিং অ্যাপগুলির সেবা এবং কার্যকারিতা আরও উন্নত করা দরকার।
ব্যাংক এশিয়া স্মার্ট অ্যাপের ব্যবহারকারী সফার আলী বিজনেস ইনসাইডার বাংলাদেশকে বলেন, “সামগ্রিক ভাবে এ সেবা গ্রহণযোগ্য। তবে প্রতি তিন মাসে পাসওয়ার্ড আপডেট করার বিষয়টি বিরক্তিকর।”
ইবিএলের স্কাই ব্যাংকিং অ্যাপ ব্যবহারকারী আহমেদ আশিকুজ্জামান বলেন, তিনি লক্ষ্য করেছেন যে, অ্যাপে ফিঙ্গারপ্রিন্ট মোড সবসময় কাজ করে না।
এ শিল্পে সম্পৃক্তদের সূত্রে জানা গেছে, দেশের বেশিরভাগ ব্যাংকিং অ্যাপ্লিকেশন স্থানীয় এবং বিদেশী সংস্থার সহযোগিতায় ব্যাংকের আইটি বিভাগের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে।
এবিবি চেয়ারম্যান এ প্রসঙ্গে বলেন, “আমাদের প্রতিনিয়তই আপগ্রেড করতে হচ্ছে। সব ব্যাংকই অ্যাপের এ প্ল্যাটফর্মটিকে অগ্রাধিকার হিসাবে গ্রহণ করেছে। প্রযুক্তি প্রতিদিন বিকশিত হচ্ছে এবং ব্যাংকিংয়ের মতো স্পর্শকাতর সেবারও এর সঙ্গে মানিয়ে নো দরকার।”