Notice: Undefined index: HTTP_REFERER in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 2

Notice: Undefined index: HTTP_ACCEPT_LANGUAGE in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 14
পুনরায় জিএসপি সুবিধা চেয়ে বাইডেন প্রশাসনকে বাংলাদেশের চিঠি

শনিবার

১৬ নভেম্বর ২০২৪


২ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১,

১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পুনরায় জিএসপি সুবিধা চেয়ে বাইডেন প্রশাসনকে বাংলাদেশের চিঠি

নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ১৬:০১, ৩১ জানুয়ারি ২০২১   আপডেট: ১৮:২৯, ৩১ জানুয়ারি ২০২১
পুনরায় জিএসপি সুবিধা চেয়ে বাইডেন প্রশাসনকে বাংলাদেশের চিঠি

ছবি: বিজনেস ইনসাইডার

ঢাকা (৩১ জানুয়ারি): পুনরায় জেনারেলাইজড সিস্টেম অফ প্রেফারেন্স (জিএসপি) সুবিধা চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন বাইডেন প্রশাসনের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। এর ফলে তৈরী পোশাকসহ বেশ কিছু পণ্য যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশের সুবিধা পাবে।

 বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, জিএসপি ফের চালু হলে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়বে। যা আমেরিকারও দাবি।

এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত এক কর্মকর্তা বলেছেন, "জিএসপি সুবিধা পুনর্বহাল করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাণিজ্য প্রতিনিধি [ইউএসটিআর] কে আমরা গত সপ্তাহে একটি চিঠি পাঠিয়েছি। বিশেষত মহামারীর কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পোশাক খাতের জন্য এ চিঠি দেয়া হয়েছে।

এর ছাড়াও, যুক্তরাষ্ট্রে প্লাস্টিক ও কৃষি পণ্য রফতানির জন্য ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি ও সামুদ্রিক অর্থনীতিতে বিনিয়োগের জন্য ঢাকা আমেরিকাকে অর্থনৈতিক অঞ্চল বরাদ্দের প্রস্তাবও করেছে।

ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সরকার এখন বাংলাদেশের সাথে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করতে আগ্রহী এবং এফটিএ চুক্তির সম্ভাবনা নিয়ে ইতিমধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে।

বাণিজ্য সচিব জাফর উদ্দিন বিজনেস ইনসাইডারকে বলেন, "যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি বাড়ানোর লক্ষ্যে জিএসপি পুনর্বহালের চেষ্টা চলছে।"

তিনি বলেন, “শুল্কমুক্ত বাজারের সুবিধা বা জিএসপি পাওয়া গেলে আগামী দুই বছরে কেবল পোশাক রফতানিই বাংলাদেশের ১৭,০০০ কোটি টাকা সাশ্রয় করবে। এছাড়াও প্লাস্টিক সহ অন্যান্য পণ্যের রফতানিও বাড়বে।”

তিনি আরো বলেন, “বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেল ইতিমধ্যে জো বাইডেনের নেতৃত্বাধীন মার্কিন প্রশাসনের কাছে বার্তা পাঠিয়েছে। সরকার আগামী টিআইসিএফএ ফোরামের বৈঠকে জিএসপি ইস্যু উপস্থাপন করবে।”

ট্রেড এন্ড ইনভেস্টমেন্ট কোঅপারেশন ফোরাম এগ্রিমেন্ট (টিআইসিএফএ) ফোরামের সভা মার্চ বা এপ্রিলে নির্ধারিত রয়েছে।

১৯৭৬ সালে যুক্তরাষ্ট্র প্রবর্তিত জিএসপি হল একটি ট্রেডিং স্কিম। এর অধীনে যুক্তরাষ্ট্র স্বল্প বা শূন্য-শুল্কে স্বল্পোন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলি থেকে ৫০০০ এর বেশি পণ্য আমদানির অনুমতি দেয়।

২০১৩ সালে রানা প্লাজা ভবন ধ্বসে পড়ার পর থেকে বাংলাদেশি পণ্যের জন্য জিএসপি আওতাধীন বাণিজ্যিক সুবিধা স্থগিত রয়েছে। দেশের সবচেয়ে বড় এ শিল্প বিপর্যয়ে ১,১০০ জনেরও বেশি লোক মারা গিয়েছিলেন। এদের বেশিরভাগ ছিলেন পোশাক শ্রমিক।

এর আগে, ট্রাম্প প্রশাসনের সময় জিএসপি পুনর্বহালে বাংলাদেশ বেশ কয়েক বার চেষ্টা চালিয়েছিল। কিন্তু তাতে কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি।

বাংলাদেশের মোট রফতানির মাত্র তিন শতাংশ জিএসপির আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে যায়। এছাড়া, বাংলাদেশের প্রধান রফতানি পণ্য গার্মেন্টস এবং টেক্সটাইল খাত জিএসপির তালিকায় নেই বলে রফতানিকারকরা জানিয়েছেন।

Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়