কর্মীদের সুরক্ষায় ইউবিএলের নতুন নীতিমালা
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
ফাইল ফটো
ঢাকা (০২ ফেব্রুয়ারি): কর্মীদেরকে সব ধরনের হয়রানি ও সহিংসতা থেকে সুরক্ষা দিতে দু’টি গুরুত্বপূর্ণ নীতিমালা প্রণয়ন করেছে ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড (ইউবিএল)। মঙ্গলবার ইউবিএল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিততে বলা হয়েছে, সম্প্রতি গৃহিত এই নীতিমালা দু’টি ইউনিলিভার এর বৈশ্বিক নীতিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে চালু করা হয়েছে। এটা কর্মীদের সামাজিক অন্তর্ভুক্তিকে উৎসাহিত করবে এবং কর্মীদের সুরক্ষায় কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।
'প্রিভেনশন অন সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট' (পিওএসএইচ) এবং 'সাপোর্ট সারভাইভরস অব অ্যাবিউস' (এসএসওএ) শীর্ষক নীতিমালা দু’টিতে ইউবিএল এ কর্মরত প্রতিটি কর্মীর জেন্ডার, জাতিগত, যৌন আচরণ, প্রতিবন্ধিতা, ধর্ম, বয়স ও চরিত্র সংক্রান্ত যেকোনো ধরনের হয়রানি, ভয়-ভীতি প্রদর্শন ও আক্রমণাত্মক আচরণ থেকে সুরক্ষা দেওয়ার বিষয়টি সমুন্নত রাখা হয়েছে।
বিগত ২০২০ সালের জুন মাসে ইউএন (জাতিসংঘ) উইমেন থেকে প্রকাশিত বৈশ্বিক হিসাব অনুযায়ী, এর আগের এক বছরে বিশ্বজুড়ে প্রায় ২৪ কোটি ৩০ লাখ নারী ও মেয়ে শিশু তাদের ঘনিষ্ঠজনও সহকর্মীদের দ্বারা যৌন হয়রানি, শারীরিক নির্যাতন বা জবরদস্তির শিকার হয়েছেন। বিশ্লেষকদের মতে, সামাজিক ও আর্থিক কার্যক্রমের অভাবই এসব অনাকাঙিক্ষত ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ার প্রধান কারণ।
ইউনিলিভার মনে করে, জেন্ডার অসমতার কারণে নারীরা পারিবারিকভাবে নির্যাতন ও অমর্যাদার শিকার হয়ে থাকে। তাই ইউনিলিভার বাংলাদেশ এর চালু করা বিশ্বমানের নীতিমালা এদেশের সরকারের গ্রহণ করা নীতিমালার সমান্তরালে কাজ করার মাধ্যমে নারী ও পুরুষের মধ্যে সমতা জোরদারে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় ইউনিলিভারে এখন নারী ব্যবস্থাপকদের আনুপাতিক হার অনেক বেশি।
বর্তমানে বিশ্বব্যাপী ইউনিলিভার এর নারী ব্যবস্থাপকের হার প্রায় ৫০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে, যেটি ২০১০ সালে মাত্র ৩৮ শতাংশ ছিলো। ইউনিলিভার বাংলাদেশ তার কর্মীদের মধ্যে যারা পারিবারিক সহিংসতা বা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন কিংবা হতে পারেন, তাদের সবাইকে সহায়তা প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কর্মীদের কল্যাণসাধনের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়েই নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করবে ইউনিলিভার। ‘
ইউনিলিভার বাংলাদেশ এর অন্যতম লক্ষ্য হলো- প্রতিষ্ঠানটির যেসব কর্মী শারীরিক নির্যাতন ও পারিবারিক সহিংসতার শিকার হবেন, তাদের জন্য একটি নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়ে ওঠা। যেসব কর্মী এ ধরনের নির্যাতন ও অমর্যাদার শিকার হবেন, তারা নিজেদের পাশাপাশি পরিবারের জন্যও ইউনিলিভার এর কাছ থেকে চিকিৎসা সেবা এবং মানসিক সহায়তা ও পরামর্শ পাবেন। উপরন্তু এসব ক্ষেত্রে কর্মীরা ১০ দিন পর্যন্ত সবেতন ছুটিও নিতে পারবেন। এছাড়া কর্মীরা চাইলে ওই সময়ে দেশে ইউনিলিভার এর যেকোনো কার্যালয়ে কাজ করার সুবিধাও পাবেন।