বাণিজ্য মেলা ১৭ মার্চ হচ্ছে না
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
চায়না-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার’ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি। ছবি: পিআইডি
ঢাকা (০৭ ফেব্রুয়ারি): আগামি ১৭ মার্চ থেকে পূর্বাচলের চায়না-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শুরু হচ্ছে না। এ ব্যাপারে প্রস্তুতি নেওয়া হলেও আপাতত তা আর হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি। রোববার সচিবালয়ে ‘চায়না-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার’ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা জানান।
বাণিজ্য মন্ত্রী বলেন, “আমরা এবছর মেলা করার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। ১৭ মার্চকে কেন্দ্র করে আমাদের প্রস্তুতি এগুচ্ছিল। এ ব্যাপারে আমরা প্রাথমিকভাবে একটা সম্মতিও পেয়েছিলাম। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এটাকে একটু স্লো করার জন্য। আশা করি এ বছর একটা সময়ে আমরা মেলাটা করতে পারব।”
এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য মন্ত্রী বলেন, “মেলা কখন শুরু হবে তা নির্ভর করছে উপরওয়ালার ওপরে। পরবর্তীতে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা পহেলা জানুয়ারিতেই শুরু হবে।”
পূর্বাচল ৪ নম্বর সেক্টরে ২০ একর জমির ওপর ২০১৭ সালের ১৭ অক্টোবর মেলার অবকাঠামো নির্মাণ শুরু করে চায়না স্টেট কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন। ৩০ নভেম্বর এর নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যতে সারা বছরই এখানে মেলা, বিভিন্ন পণ্য প্রদর্শনী, সোর্সিং প্রোগ্রাম হবে। পাশাপাশি বছরে দুবার নিজস্ব পণ্য প্রদর্শনী করবে চীন।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, বাণিজ্য মেলা ও প্রদর্শনীর স্থায়ী এই অবকাঠামো নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৭৭৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে চীন অনুদান হিসাবে দিয়েছে ৫২০ কোটি টাকা। এতে বাংলাদেশ সরকার ২৩১ কোটি ও ইপিবির নিজস্ব তহবিল থেকে ২১ কোটি ২৭ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়েছে।
এ প্রদর্শনী কেন্দ্রের মোট ফ্লোর স্পেস ৩৩ হাজার বর্গমিটার। ভবনের মোট ফ্লোর স্পেস ২৪ হাজার ৩৭০ বর্গমিটার। এক্সিবিশন হলের মোট আয়তন ১৫ হাজার ৪১৮ বর্গমিটার।
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আয়োজিত এ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে যোগ দেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, ইআরডি সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন এবং ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। এছাড়া বাণিজ্য সচিব জাফর উদ্দিন ও ইপিবি কর্মকর্তারা সচিবালয়ে উপস্থিত ছিলেন।