‘ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তি’ কার্যকর, কমবে আন্তঃদেশীয় বাণিজ্যের সময় ও ব্যয়
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা (১৯ ফেব্রুয়ারি): এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আন্তঃদেশীয় বাণিজ্য ব্যবস্থা ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে সম্পাদিত ‘ দি ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট অন ফেসিলিটেশন অব ক্রস বর্ডার পেপারলেস ট্রেড ইন এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিক’ চুক্তি শনিবার থেকে কার্যকর হচ্ছে।
এটি কার্যকর হলে বাংলাদেশ বাণিজ্য বাবদ খরচ তেত্রিশ শতাংশ কমিয়ে আনতে পারবে। এর আর্থিক মূল্য বার্ষিক দশমিক সাত বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সেই সঙ্গে আন্তঃদেশীয় বাণিজ্য সম্পাদনের সময় ও ব্যয়ও কমবে।
শুক্রবার বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আব্দুল লতিফ স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এ চুক্তিকে ‘ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তি’ হিসেবে উল্লেখ করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য গঠিত জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনভুক্ত (ইউএনইএসসিএপি) ২৫টি দেশের সমন্বিত প্রচেষ্টায় ২০১৬ সনে সদস্য দেশগুলো চুক্তিটি গ্রহণ করে। কাগজবিহীন ইলেকট্রনিক মাধ্যমে আন্তঃদেশীয় বাণিজ্য সংক্রান্ত ডাটা ও ডকুমেন্ট আদান প্রদান সহজ করতে এ চুক্তি করা হয়।
এতে বলা হয়, ইউএনইএসসিএপি এর প্রকাশনা হতে জানা যায় যে, ডাব্লিউটিও ট্রেড ফেসিলিটেশন এগ্রিমেন্ট ও ইউএনইএসসিএপি ক্রসে বর্ডার পেপারলেস ট্রেড সমন্বিতভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ বাণিজ্য বাবদ খরচ তেত্রিশ শতাংশ কমিয়ে আনতে পারে যার আর্থিক মূল্য বার্ষিক দশমিক সাত বিলিয়ন মার্কিন ডলার। উন্নয়নশীল দেশ হতে বাংলাদেশের উত্তরণের ফলে সম্ভাব্য বাণিজ্য সংকোচন মোকাবিলায় বাংলাদেশ এ চুক্তির আওতায় কারিগরী সহযোগিতা পেতে পারে।
এ চুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের অবস্থান এগিয়ে যাবে এবং বাংলাদেশ আরো বেশি বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণে সক্ষম হবে। এছাড়া, সরকারের ওয়ান স্টপ সার্ভিস ও ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো প্রজেক্ট বাস্তবায়নের জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা পাওয়ার সম্ভাবনাও সৃষ্টি হবে। এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠন ও ভিশন ২০৪১ অনুযায়ী উচ্চ আয়ের দেশ (উন্নত বাংলাদেশ) গঠনের স্বপ্ন ত্বরান্বিত হবে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয় কোভিড-১৯ এর ফলে আন্তঃদেশীয় বাণিজ্য ব্যবস্থার (আমদানি-রপ্তানি) ক্ষেত্রে সৃষ্ট জটিলতা দূর করতে পেপারলেস ট্রেড/ ডিজিটাল ট্রেড পদ্ধতি ইতোমধ্যেই সমাদৃত হয়েছে। কোভিডোত্তর বিশ্ব বাণিজ্যে ‘কাগজবিহীন আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্য’ ব্যবস্থা বাণিজ্য সহজ করতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। এছাড়া ‘কাগজবিহীন আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্য’ দেশের বাণিজ্য সক্ষমতা বৃদ্ধি, ই-কমার্স ও ডিজিটাল অর্থনীতি গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।