একদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ১০ টাকা বৃদ্ধি
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: শ্যামবাজারের একটি আড়তে স্তুপ করে রাখা পেঁয়াজ
ঢাকা (০৮ মার্চ): একদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি সর্বোচ্চ ১০ টাকা বেড়ে গেছে। আর পাইকারি বাজারে বেড়েছে কেজি প্রতি ৭ থেকে ৯ টাকা। পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধিও কারণ সম্পর্কে পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কমে এসেছে। যে কারণে হঠাৎ করেই দাম বাড়ছে।
তবে পাইকারী ব্যবসায়ীরা বলছেন, পেঁয়াজের এই দাম বৃদ্ধি সাময়িক। এখন ‘মুড়িকাটা’ পেঁয়াজের সরবরাহ একেবারেই কমেছে। এক সপ্তাহের মধ্যে ‘কালি পেঁয়াজ’ বাজারে আসা শুরু হবে। তখন বাজারে আমদানি করা পেঁয়াজ ও দেশি পেঁয়াজ বাজারে থাকবে তখন দাম হাতের নাগালে থাকবে।
এখানে উল্লেখ্য, জমি থেকে পেঁয়াজ উঠানোর সময় যেসব পেঁয়াজের উপরের পাতা বা কলি ভেঙ্গে ফেলা হয় সেসক পেঁয়াজ ‘মুড়িকাটা’ নামে পরিচিত। আর যেসব পেঁয়াজের উপরের পাতা বা কলি জমিতেই শুকিয়ে যাওয়ার পর সংগ্রহ করা হয় সেগুলোকে ‘কালি পেঁয়াজ’ বলে থাকে। এই দুই ধরণের মধ্যে কালি পেঁয়াজই সংরক্ষণ করা যায় বছরব্যাপী।
শ্যামবাজারের পেঁয়াজের পাইকারি বিক্রেতা ও আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান আমানত ভান্ডারের কর্ণধার জি এস মানিক এ প্রসঙ্গে বিজনেস ইনসাইডার বাংলাদেশ’কে জানান, এখন মুড়িকাটা পেঁয়াজের সরবরাহ একেবারেই কম। তাই হুট করে পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে। এক সপ্তাহের মধ্যে আবারও দাম কমে আসবে। তিনি জানান, পাইকারী পর্যায়ে পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ৯ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে।
এই আমদানিকারক আরও জানান, আগামি ১৫দিনের মধ্যে দাম আবারও কমে আসবে। তখন দেশি কালি পেঁয়াজ ও আমদানি করা পেঁয়াজ বাজারে থাকবে। এছাড়া গতকাল রবিবারও বেনাপোল বর্ডার দিয়ে ৩৯ ট্রাক পেঁয়াজ ঢুকেছে। ফলে দেশি ও আমদানি করা পেঁয়াজের সরবরাহ ঠিক থাকলে আসন্ন রমজানের আগেই দাম কমে আসবে।
রাজধানীর শ্যামবাজার ও কাওরান বাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শনিবার থেকেই মুলত পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে। পাইকারি পর্যায়ে প্রকারভেদে কেজি প্রতি ২৫ থেকে ৩৫ টাকার পেঁয়াজ সোমবার বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়। পাইকারি পর্যায়ে পেঁয়াজের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে খুচরা পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা পণ্যটির দাম বাড়িয়ে দেয়। খুচরা পর্যায়ে এই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৪৮ টাকায়।