Notice: Undefined index: HTTP_REFERER in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 2

Notice: Undefined index: HTTP_ACCEPT_LANGUAGE in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 14
আমদানি হচ্ছে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি

বুধবার

২০ নভেম্বর ২০২৪


৬ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১,

১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আমদানি হচ্ছে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি

নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ০৬:৫২, ২৩ মার্চ ২০২১   আপডেট: ০৬:৫৪, ২৩ মার্চ ২০২১
আমদানি হচ্ছে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি

ছবি: এলএনজি আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ

ঢাকা (২৩ মার্চ): দেশের জ্বালানির চাহিদা মেটাতে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আন্তর্জাতিক কোটেশনের মাধ্যমে আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ। এ জন্য ব্যয় হবে ২১৮ কোটি ৭ লাখ ২৯ হাজার টাকা। এক্সেলারেট এনার্জি এলপি নামের একটি প্রতিষ্ঠান এই এলএনজি সরবরাহ করবে।

সূত্র জানায়, 'বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন-২০১০' (২০১৮ সনের সর্বশেষ সংশোধনীসহ)-এর আওতায় মাস্টার সেল অ্যান্ড পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্ট (এমএসপিএ) স্বাক্ষরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্য থেকে কোটেশন সংগ্রহের মাধ্যমে স্পট মার্কেট থেকে ১০ম এলএনজি কার্গো আমদানির জন্য এলএনজি কেনার একটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য পরবর্তী সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে।

সূত্র জানায়, দেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের চাহিদার তুলনায় উৎপাদন ঘাটতি থাকায় সরকার তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কক্সবাজার জেলার মহেশখালিতে দৈনিক ৫০০ এমএমসিএফ ক্ষমতাসম্পন্ন ০২ (দুই) টি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের জন্য এক্সেলেরেট এনার্জি বাংলাদেশ লিমেটেড (ইইবিএল) জেস সামিট এলএনজি টার্মিনাল কোম্পানি (পিভিটি) -এর সঙ্গে চুক্তি  হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে স্থাপিত দু’টি টার্মিনাল থেকে প্রতিদিন গড়ে ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট (এমএমসিএফ) হারে গ্যাস জাতীয় গ্রীডে সরবরাহ করা হচ্ছে।

দেশের ক্রমবর্ধমান গ্যাসের চাহিদা পূরণের জন্য সরকার এলএনজি আমদানি শুরু করেছে। বর্তমানে কাতার গ্যাস জেস ওমান ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল (ওকিউটি) -এর সঙ্গে দু’টি দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির মাধ্যমে এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে। এছাড়া, বছরের কোন সময়ে গ্যাসের চাহিদা কমে গেলে দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি অনুযায়ী এলএনজি সরবরাহ গ্রহণ না করলেও মূল্য পরিশোধ করতে হয়। এ বিবেচনায় এলএনজি আমদানিকারী দেশগুলো  প্রয়োজনের কমবেশী ২৫ শতাংশ এলএনজি স্পট মার্কেট থেকে ক্রয় করে থাকে। এজন্য জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির পাশাপাশি স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি কেনার উদ্যোগ নিয়েছে।

সূত্র জানায়, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন-২০১০ (২০১৮ সনের সর্বশেষ সংশোধনীসহ)-এর আওতায় স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি কেনার লক্ষ্যে গত ০৮- ০৬-২০১৭ তারিখে জাতীয় পত্রিকাসহ সিপিটিইউ, পেট্রোবাংলা ও আরপিজিসিএল-এর ওয়েব সাইটে এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট (ইআইও) প্রকাশ করা হয়। এতে ৪৩ টি প্রতিষ্ঠান তাদের প্রস্তাব দাখিল করে। এ সংক্রান্ত কমিটি আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রস্তাব মূল্যায়ন করে ৪৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩০টি প্রতিষ্ঠানকে সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত করা হয়। পরবর্তীতে স্পেনের ১ টি প্রতিষ্ঠান তালিকা থেকে তাদের নাম প্রত্যাহার করে নেওয়ায় সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের সংখা দাঁড়ায় ২৯টি। সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো সঙ্গে এমএসপিএ স্বাক্ষরের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক পরামর্শকের  সহায়তায় প্রস্তুতকরা খসড়া এমএসপিএ পিপিসি’র সভার অনুমোদনক্রমে অনুস্বাক্ষরের লক্ষ্যে সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত ২৯টি প্রতিষ্ঠানের কাছে পাঠানো হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ১৭টি প্রতিষ্ঠান এমএসপিএ অনুস্বাক্ষরের জন্য আহ্বান করলে ১৪ টি প্রতিষ্ঠান স্বাক্ষর করে। পরবর্তীতে তার উপর আইন ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের ভোটিং নেওয়া হয়। পরবর্তীতে ১৪টি প্রতিষ্ঠানের কাছে দর জমা দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দর প্রস্তাব দাখিলকরা ৩ (তিন) টি প্রতিষ্ঠানের দরপ্রস্তাব কারিগর ও আর্থিক ভাবে রেসপন্সিভ হয়। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে সুইজারল্যান্ডের এওটি ট্রেডিং এজি, যুক্তরাষ্ট্রের এক্সেলারেট এনার্জি এলপি এবং সিঙ্গাপুর ভিত্তিক ভিটল এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেড।

সূত্র জানায়, আসন্ন সেচ মৌসুমে (মার্চ ও এপ্রিল, ২০২১) নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য ৭৫০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি প্রয়োজন। এজন্য এপ্রিল, ২০২১ মাসে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য দীর্ঘ মেয়াদী এলএনজি আমদানির পাশাপাশি স্পট মার্কেট থেকে ৩টি এলএনজি কার্গো আমদানি করা প্রয়োজন। ইতোমধ্যে ২(দুই) টি কার্গো আমদানির জন্য সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদন পাওয়া গেছে। এ কার্গোটি গ্রহণ করা হলে দৈনিক ৭৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হবে। ১০ মার্চ অনুষ্ঠিত পিপিসি’র সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এক্সেলারেট এনার্জি এলপি এর  দাখিলকরা সর্বনিম্ন দরপ্রস্তাব (৬.৫৩০০ মার্কিন ডলার/এমএমবিটিইউ) গ্রহন করার সুপারিশ করেছে পিপিসি’র সভা।

সর্বনিম্ন দর প্রস্তাবকারী প্রতিষ্ঠান প্রস্তাবিত একক দর ৬.৫৩০০ মার্কিন ডলার/এমএমবিটিইউ বিবেচনায় ৫% অপারেশনাল টলারেন্সসহ সরবরাহতব্য ৩৩,৬০,০০০ এমএমবিটিইউ এলএনজি কেনার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের পরিমাণ ২১,৯৪০,৮০০ মার্কিন ডলার মার্কিন ডলার যা বাংলাদেশ টাকায় ১৮৬,৩৮,৭০,৯৬০ টাকা (১ মার্কিন ডলার=৮৪.৯৫ টাকা) টাকার সমতুল্য (ভ্যাট/ট্যাক্স ব্যতীত)।

Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়