Notice: Undefined index: HTTP_REFERER in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 2

Notice: Undefined index: HTTP_ACCEPT_LANGUAGE in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 14
সোনালি ব্যাংকের সাথে একীভূত হচ্ছে বিডিবিএল

বুধবার

১৯ মার্চ ২০২৫


৫ চৈত্র ১৪৩১,

১৮ রমজান ১৪৪৬

সোনালি ব্যাংকের সাথে একীভূত হচ্ছে বিডিবিএল

নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ১৫:০২, ১২ মে ২০২৪  
সোনালি ব্যাংকের সাথে একীভূত হচ্ছে বিডিবিএল

সংগৃহিত

একীভূত হতে পদ্মা-এক্সিম ব্যাংকের পর এবার সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক-বিডিবিএল এর চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। সব প্রক্রিয়া শেষ হতে ৬ মাস সময় লাগতে পারে জানিয়েছেন সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফজাল করিম।  

আজ  রোববার (১২ মে) সকালে বাংলাদেশ ব্যাংকে গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার সভাপতিত্বে দুই ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক উপস্থিতিতে চুক্তি সম্পন্ন হয়।

চুক্তি শেষে বিডিবিএল চেয়ারম্যান বলেন, বিডিবিএল এর চারটি ইনডিকেটরের মধ্যে তিনটিই ভালো আছে শুধু একটিতে একটু দুর্বল অবস্থায় আছে, খেলাপি ঋণ। আগে যেটা ৪১ শতাংশ ছিল, আমরা সেটা কমিয়ে ৩৪ শতাংশে নিয়ে এসেছি। মার্জারের যে নীতিমালা আছে চারটি ইন্ডিকেটরের মধ্যে খেলাপি ঋণের বিষয়টা আলাদা গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, খেলাপি ঋণ শুধুই আমার একটিভনেস না, যার যে খেলাপি তাকেও এগিয়ে আসতে হবে। সে যদি এগিয়ে না আসে তার জামানত বিক্রি করতে হলেও আমাকে অনেকগুলো ধাপ অর্থঋণ আদালত, অর্থ আদালত, মামলা এসব ধাপ অতিক্রম করে আসতে হবে। যেটা কোনোভাবেই ছয় মাসে সম্ভব না।

বিডিবিএল সময় নিতে পারতো তারপরও কেন মার্জারে যাচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রাইভেট ব্যাংকগুলো যেমন গ্যারান্টি দিচ্ছে, আগামী এক বছরে এত হাজার কোটি টাকা আনবো আমি সেই গ্যারান্টি দিতে পারছি না। কারণ আমাদের ব্রাঞ্চের সংখ্যা কম। মাত্র ৫০ টি। কাজেই আমি যে সময় নিব বাংলাদেশ ব্যাংক তো আর আমাকে ৫-১০ বছর সময় দিবে না৷

বিডিবিএলর কর্মীরা মার্জারে না যেতে খোলা চিঠির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বিডিবিএল চেয়ারম্যান বলেন, এখানে দুই ব্যাংকের পর্ষদ মিলে একীভূতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কাজেই তারা অনেককিছু প্লাস-মাইনাস করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যেটা বেটার হয় সেটা করা হয়েছে।

এসময় সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান সিদ্দিকী বলেন, আমরা অনেক চিন্তাভাবনা করেই মার্জারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা কোনো চাপের মুখে নয়, নিজেরাই আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের দুই ব্যাংকের দুই ধরনের অভিজ্ঞতা আছে। সেগুলা কাজে লাগিয়ে আমরা এগিয়ে যাবো। আজকে বিডিবিএলের চেয়ারম্যানও ছিলেন এখানে। তার কিছু প্রশ্ন ছিল। গভর্নর সেগুলোর সন্তোষজনক জবাব দিয়েছেন।

সোনালী ব্যাংকের এমডি আফজাল করিম বলেন, সোনালী ব্যাংকের এই মুহুর্তে এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার কোটি টাকা। অপরদিকে বিডিবিএলের ৩২০০ কোটি টাকা। যা প্রায় ৫০ ভাগের এক ভাগ৷ সেম অবস্থা লোনের ক্ষেত্রেও। কাজেই এটা সোনালী ব্যাংকে খুব বেশি ইফেক্ট পড়বে না। আর বিডিবিএল এর এমপ্লয়িদের শঙ্কা বা আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নাই। আমাদের প্রায় ৮ হাজার কর্মী আছে তারপরও অনেক লোকবল শর্ট আছে, আর বিডিবিএল’র ছয়শর মতো কর্মী আছে। সুতরাং তাদের শঙ্কার কিছু নাই।

Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়