আইএমএফের কাছে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা চেয়েছে সরকার
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
সংগৃহিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ব্যাংকিং খাত, ভ্যাটসহ রাজস্ব কাঠামো, অর্থ পাচার রোধ এবং আর্থিক খাতের সংস্কারে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে আমরা কারিগরি সহায়তা চেয়েছি। আজ মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে আইএমএফের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ব্যাংকিং খাত, ভ্যাটসহ রাজস্ব কাঠামো, অর্থ পাচার রোধ এবং আর্থিক খাতের সংস্কারে আইএমএফের কাছে কারিগরি সহায়তা চাওয়া হয়েছে। সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে বিশ্বব্যাংকসহ অন্যান সংস্থার কাছেও।
তবে কতটুকু অর্থ আইএমএফ থেকে চাওয়া হবে তা এখনো নির্দিষ্ট করা হয়নি বলেও জানিয়েছেন ড. সালেহউদ্দিন। তিনি বলেন, আইএমএফ কত পরিমাণ বা কিভাবে অর্থ দেবে তা অক্টোবরে আইএমএফের বোর্ড সভায় নির্ধারিত হবে।
এদিকে, বাংলাদেশকে বাড়তি ৩ বিলিয়ন বা ৩০০ কোটি ডলার ঋণ দেয়া যায় কি না তা খতিয়ে দেখতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের একটি মিশন এখন ঢাকায় অবস্থান করছেন। আইএমএফের গবেষণা শাখার উন্নয়ন সামষ্টিক অর্থনীতি বিভাগের প্রধান ক্রিস পাপার্জিওর এই মিশনের নেতৃত্বে রয়েছেন।
আইএমএফের কর্মকর্তারা আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে অবস্থান করবেন। বৈঠক করবেন সরকারের অর্থ বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দফতরের সঙ্গে। আর এসব বৈঠকে বাংলাদেশে আইএমএফের চলমান ঋণ কর্মসূচি পর্যালোচনার পাশাপাশি আলোচনা হবে নতুন ঋণ অনুমোদন নিয়েও।
সূত্র বলছে, আইএমএফের সঙ্গে এবারের বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয় কর আদায় বৃদ্ধি, কম ঋণ গ্রহণ ও ভর্তুকি কমানো। তবে অন্তর্বর্তী সরকারকে গ্যাস, বিদ্যুৎ, জ্বালানি তেল ও সারের মূল্যবৃদ্ধির চাপও দিতে পারে সংস্থাটি।