Notice: Undefined index: HTTP_REFERER in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 2

Notice: Undefined index: HTTP_ACCEPT_LANGUAGE in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 14
দুর্বল ব্যাংককে ধার দেওয়া টাকা চাইলে তিন দিনের মধ্যে ফেরত পাবে সবল ব্যাংক

রোববার

২২ ডিসেম্বর ২০২৪


৮ পৌষ ১৪৩১,

২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

দুর্বল ব্যাংককে ধার দেওয়া টাকা চাইলে তিন দিনের মধ্যে ফেরত পাবে সবল ব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ১৭:৫৪, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪   আপডেট: ১৭:৫৭, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
দুর্বল ব্যাংককে ধার দেওয়া টাকা চাইলে তিন দিনের মধ্যে ফেরত পাবে সবল ব্যাংক

সংগৃহিত

নিজস্ব প্রতিবেদক : অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে যেসব ব্যাংক দুর্বল হয়ে পড়েছে, সেগুলোকে বাংলাদেশ ব্যাংক বিশেষ ব্যবস্থায় তারল্য-সহায়তা দিতে কার্যক্রম শুরু করেছে। দুর্বল ব্যাংককে দেয়া ঋণের টাকা ফেরত চাইলে সবল ব্যাংকগুলোকে তিন দিনের মধ্যেই ফেরত দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক।

আজ বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি জানিয়েছেন, কোনো ব্যাংক চাইলে ঋণের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা নির্ধারণ করতে পারবে না। কোন ব্যাংককে কত টাকার তারল্য সহায়তা দেওয়া হবে, সেটি নির্ধারণ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়া দুই ব্যাংকের সমঝোতার ভিত্তিতে ঋণের সুদহার নির্ধারণ হবে বলেও জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গ্যারান্টির বিপরীতে তারল্য সংকটে পড়া দুর্বল ব্যাংকগুলো তুলনামূলক সবল ব্যাংক থেকে ধার পাবে। এ লক্ষ্যে ইতিমধ্যে ৫টি ব্যাংক আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি সই করেছে। তারল্য সহায়তা পেতে যেসব ব্যাংক চুক্তি সই করেছে- বেসরকারি খাতের ন্যাশনাল ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, ইউনিয়ন ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্যারান্টির মানে হলো, কোনো কারণে এসব ব্যাংক ব্যর্থ হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ওই টাকা দেবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরাসরি টাকা না দিয়ে অন্য ব্যাংক থেকে ধারের ব্যবস্থা করছে। এর মানে, বাজারের টাকা এক ব্যাংক থেকে আরেক ব্যাংকে যাবে। ফলে মূল্যস্ফীতির ওপর বাড়তি প্রভাব পড়বে না।

সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক আগের মতো টাকা ছাপিয়ে তারল্য সহায়তা দেবে না। তবে ব্যাংকগুলো আন্তঃব্যাংক মুদ্রা সরবরাহের মাধ্যমে এ সহায়তা নিতে পারে। জানা গেছে, নামে-বেনামে ব্যাংকগুলো থেকে বিপুল অঙ্কের ঋণ নিয়ে পাচারের অভিযোগ খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ বিভিন্ন সংস্থা। নামে-বেনামে টাকা বের করে নেয়ায় তীব্র তারল্য সঙ্কট তৈরি হয়েছে ব্যাংকগুলোতে।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তৎকালীন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার আত্মগোপনে চলে যান। এরপর গভর্নর হিসেবে নিয়োগ পান অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি যোগ দিয়েই ব্যাংক খাতের সংস্কারে মনোযোগ দেন। যেসব ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠান অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে দুর্বল হয়ে পড়েছে ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণহীন ছিল, সেগুলোর নিয়ন্ত্রণ বদলে দেওয়া হয়। একে একে ১১টি ব্যাংক ও ১টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পরিষদ ভেঙে দেন নতুন গভর্নর।

Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়