বাংলাদেশ-সুইজারল্যান্ড অর্থনীতি ও বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা(১৮ নভেম্বর) : বাংলাদেশ সরকারের আন্তঃসংস্থা কমিটি ও সুইজারল্যান্ডের মধ্যকার দ্বিতীয় বৈঠক আজ বুধবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়। সুইস বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও বিনিয়োগকারীরা যেসব বাধার সম্মুখীন হয় তা চিহ্নিত ও নিরসন এবং উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ সম্প্রসারণ করার লক্ষ্যে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশ সরকার এই আন্তঃসংস্থা কমিটি গঠন করে। গত বছরের এপ্রিলে আন্তঃসংস্থা কমিটির সঙ্গে সুইজারল্যান্ডের প্রথম সভাটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
বাণিজ্য সচিব ড. মো: জাফর উদ্দিন এই বৈঠকে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। সুইস ফেডারেল কাউন্সিলের বাণিজ্য চুক্তি বিষয়ক প্রতিনিধি এবং অর্থনৈতিক মন্ত্রণালয়ের দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রধান রাষ্ট্রদূত এরউইন বোলিঙ্গার সুইস প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। তিনি সুইজারল্যান্ডের বার্ন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যোগ দেন। ঢাকায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি শিউআখ্ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে উভয় পক্ষ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ইতিবাচক উন্নয়নকে স্বাগত জানিয়ে অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করে। সেই সাথে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে দুই পক্ষ স্ব-স্ব দেশের বিভিন্ন কার্যক্রম উপস্থাপন করে। এছাড়াও বাংলাদেশে বিদ্যমান ব্যবসার পরিবেশ নিয়ে আলোচনা হয়।
রাষ্ট্রদূত এরউইন বোলিঙ্গার দুদেশের অর্থনৈতিক সহযোগিতার ভবিষ্যত সম্ভাবনা তুলে ধরে বলেন, আমাদের দুইদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সুসম্পর্ক বিদ্যমান যা পরস্পরের জন্য লাভজনক। বিগত বছরগুলিতে এই সম্পর্কে একটি ইতিবাচক ধারা লক্ষ্য করা গেছে"। বাণিজ্য সচিব ড. মোঃ জাফর উদ্দিন দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আরো বাড়ানোর উপর গুরুত্বারোপ করেন ।
কোভিড-১৯ মহামারি এবং সহজে ব্যবসা করা সংক্রান্ত কিছু বাধা সত্ত্বেও সুইস বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশের বাজারে আশাব্যঞ্জক সম্ভাবনা দেখছে। সুইজারল্যান্ড এবং বাংলাদেশের মধ্যকার অর্থনৈতিক সম্পর্ক ক্রমশ বাড়ছে। সুইস পরিসংখ্যান অনুসারে দুদেশের মধ্যকার বাণিজ্য ২০১০ সাল থেকে তিনগুণ বেড়ে গত বছর ৮৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের কাছাকাছি এসে দাঁড়িয়েছে। সুইজারল্যান্ডের বেশিরভাগ বহুজাতিক সংস্থা এবং বেশ কয়েকটি ক্ষুদ্র ্র ও মাঝারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে তাদের বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।